বাংলাদেশের রংপুর জেলায় কৃষকদের চলতি আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের পেছনে প্রায় ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত গুনতে হবে। কেজিতে ৬ টাকা করে সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই দাম গুনতে হচ্ছে চাষীদের।এবার অনাবৃষ্টি ও আমন কাটা–মাড়াইয়ের সময় ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার আশঙ্কায় বাড়তি ব্যয় নিয়ে কৃষকেরা আগাম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
বাংলাদেশের এক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, রংপুরের আট উপজেলায় এবার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৬ হেক্টর। চাষির সংখ্যা ২ লাখ ১৫ হাজার। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ লাখ ২১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির অভাবে সম্পূরক সেচ দিয়ে আমন লাগানো হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার হেক্টরে। মূলত আমন বৃষ্টিনির্ভর আবাদ। এ কারণে সম্পূরক সেচ দিয়ে ওই আবাদ করায় এবার ধান উৎপাদনে ব্যয় আরও বাড়বে।
আরও পড়ুনঃ ক্যপসিকাম চাষের সহজ পদ্ধতি
প্রতি হেক্টরে আমন চাষ করতে গড়ে ইউরিয়া লাগে ১৮০ কেজি। এ হিসাবে জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩৬ হেক্টরে আমন চাষে ইউরিয়া লাগবে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮০ কেজি। প্রতি কেজি ইউরিয়ায় ৬ টাকা বেড়ে যাওয়ায় এবার শুধু আমন উৎপাদনে জেলার কৃষকদের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকায়।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ করতে পারছেন না রাজ্যের কৃষকরা
কৃষকেরা জানান, এবার আমন লাগানো থেকে ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত প্রতি একরে খরচ পড়বে কমপক্ষে ৩৬ হাজার টাকা। গত আমন মৌসুমে খরচ হয়েছিল ২৫ হাজার টাকা। ইউরিয়া সার, ডিজেল, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি ও জমিতে সম্পূরক সেচ ও চাষে খরচ বৃদ্ধির কারণে বাড়তি ওই খরচ হবে। অনুকূল পরিবেশ বজায় থাকলে এলাকায় প্রতি একরে গড়ে ধান পাওয়া যাবে ৫৫ মণ। এতে উৎপাদনে খরচ হবে ৩৬ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রতি মণ (২৮ কেজি) ধান উৎপাদনের সম্ভাব্য খরচ পড়বে ৬৫৪ টাকা।
Share your comments