কৃষিজাগরন ডেস্কঃ মাটিতে যে পরিমাণ জৈব পদার্থ ,নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ পাওয়া যায় তা মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিম্ন,মাঝারি ও উচ্চ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। এর ভিত্তিতে, শুধুমাত্র সেই উপাদানের সাধারণ সুপারিশে প্রদত্ত সারের পরিমাণ সেই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যার উর্বরতা মধ্যবিত্তের মধ্যে। খুব নিম্ন এবং নিম্ন শ্রেণীর উর্বরতার জন্য, সারের পরিমাণ যথাক্রমে ৫০ এবং ২৫% বেশি (মাটিতে উপলব্ধ পরিমাণ বিবেচনায় রেখে) সুপারিশ করা হয়।
একইভাবে, খুব উচ্চ এবং উচ্চ শ্রেণীতে আগত উর্বরতার জন্য, সারের পরিমাণ যথাক্রমে সাধারণ সুপারিশের ৫০ এবং ২৫% কমানোর সুপারিশ করা হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ মাটি পরীক্ষাগারে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এতে সারের পরিমাণ কমানো বা বাড়ানোর জন্য কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। উপরন্তু, যে কোনো উপাদানের উপলব্ধ পরিমাণের একটি বৃহৎ পরিসরের জন্য একই সুপারিশ করা হয়। যেমন ১২০ থেকে ২৮০ কেজি প্রতিহেক্টর. ৪০ কেজি/হেক্টর উন্নত জাতের গম, ধান এবং ভুট্টার জন্য উপলব্ধ পটাশের জন্য। শুধুমাত্র পটাশ উপাদানের সুপারিশ করা হয় যা উপযুক্ত নয়।
আরও পড়ুনঃ মাটি পরীক্ষা কেন জরুরি ? জানুন মাটি পরীক্ষার উদ্দেশ্য
মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে ফলনের জন্য সারের সুপারিশ
এই প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষক তার অর্থনৈতিক অবস্থা, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফলন এবং খামারে উপলব্ধ জৈব সারের পরিমাণ অনুযায়ী মাটি পরীক্ষার পর মাটির প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফসলের জন্য সারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারে। প্রদত্ত সমীকরণ দ্বারা পুষ্টির পরিমাণ গণনা করা যেতে পারে। এবং অবশেষে, পুষ্টির পরিমাণের ভিত্তিতে (নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশ), সারের পরিমাণ গণনা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ধানের সঙ্গে মাছ চাষ! দেখাচ্ছে লাভের নব দিশা
প্রযুক্তির সুবিধা
এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধাগুলি নিম্নরূপ।
১। এ পদ্ধতিতে সুষম সার ব্যবহার করায় ফসলে লাভ বেশি হয়।
২। মাটিতে উপলব্ধ পুষ্টির উপর নির্ভর করে যথাযথভাবে সার ব্যবহার করা হয়।
৩। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে কৃষকরা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বাজারে সারের প্রাপ্যতা অনুযায়ী কম ও বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারেন।
৪। এই পদ্ধতিতে সুষম পরিমাণে ক্রমাগত সার ব্যবহার করলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
Share your comments