
কৃষিজাগরন ডেস্কঃ রবার চাষীদের সহয়তা প্রদানের লক্ষ্যে একধিক প্রকল্পের কথা ঘোষনা করল ছত্তিশগড় সরকার। ৩রা এপ্রিল ২০২৩- এ , ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রায়পুর, ছত্তিশগড় এবং রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কোট্টায়াম (কেরল) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার অধীনে রাবার গবেষণা ইনস্টিটিউট, কোট্টায়াম এক হেক্টরে পরীক্ষামূলক রবার চাষ করবে।
৭ বছরের পরীক্ষামূলক উৎপাদন বস্তারে সাহায্য করবে
চুক্তি অনুযায়ী, রাবার ইনস্টিটিউট ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বস্তারে ৭ বছরের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের জন্য সরকারের কাছ থেকে সহায়তা পাবে। এতে কৃষকদের রবার চাষের উপকরণ, সার, ওষুধ ও কর্মী খরচের জন্য সহায়তা দেওয়া হবে। উদ্ভিদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকবে ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি রাবার বৃদ্ধি এবং নিষ্কাশন প্রক্রিয়াগুলির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত নির্দেশিকাও প্রদান করবে। রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কোট্টায়ামের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে বাস্তরের মাটি, জলবায়ু এবং ভূ-বাস্তুবিদ্যা, অন্যান্য পরিবর্তনের সাথে রাবার চাষের জন্য উপযুক্ত।
রাবার চাষ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আপনিও যদি রাবার চাষ করার কথা ভাবে থাকেন, তবে এর জন্য আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা উচিত। যাতে আপনি সহজেই এর চাষ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারেন। মাটির PH মান তার চাষের জন্য ৪.৫-৬.০ এর মধ্যে হওয়া উচিত। এর গাছগুলির জন্য ন্যূনতম ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। উষ্ণ আর্দ্র জলবায়ুতে গাছের দ্রুত বিকাশ ঘটে এবং ২১-৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা গাছের জন্য ভাল।জুন থেকে জুলাই মাসে রাবার গাছের চারা রোপণ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ 'ঝুম' পদ্ধতির চাষের কথা শুনেছেন? জেনে নিন চাষের সুবিধা-অসুবিধা
জন্য প্রথমে মাঠের গভীর লাঙ্গল করুন এবং তারপরে মাটি আলগা করে একটি সেতু তৈরি করুন। যাতে মাঠের মাটি সমতল হয় এবং আপনি তাতে ৩ মিটার দূরত্ব রেখে এক ফুট চওড়া ও এক ফুট গভীর গর্ত তৈরি করতে পারেন। তারপর মাটিতে রাসায়নিক, জৈব সার মিশিয়ে গর্তে ভরতে হবে ।
আরও পড়ুনঃ Krishak Bandhu: কৃষকবন্ধু নিয়ে বড় আপডেট, চলতি মাসেই আসতে চলেছে প্রকল্পের টাকা
রবার গাছে ঘন ঘন জল দেওয়া উচিত। কারণ অনেক সময় দেখা গেছে শুষ্কতার কারণে এর গাছ দুর্বল হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
Share your comments