দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে, কেন্দ্রীয় কৃষিক্ষেত্র ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন যে, সমস্ত রাজ্যের লক্ষ্য থাকবে খরিফ মরসুমে পূর্ববর্তী বৎসরের তুলনায় অধিক শস্য উৎপাদন এবং কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২০ সালে খরিফ ফসলের জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে তিনি রাজ্যগুলিকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, রাজ্যগুলি যে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে, ভারত সরকার তা প্রতিহত করবে।
জাতীয় খরিফ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল লকডাউন পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা এবং খরিফ চাষের প্রস্তুতি সম্পর্কে রাজ্যগুলির সাথে পরামর্শের পদক্ষেপ তালিকাভুক্ত করা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তোমর বলেছেন যে করোনাভাইরাসজনিত কারণে এই দুঃসময়ে কৃষিক্ষেত্রে যে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে, তা মোকাবেলা করার জন্য সকলকে যৌথ উদ্যোগে লড়াই করতে হবে। তবে তিনি একথাও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছেন যে, গ্রাম, দরিদ্র ও কৃষক- এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে তাদের কোন ক্ষতি হবে না।
তিনি রাজ্যগুলিকে জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে কৃষিক্ষেত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, তা নিশ্চিত করতে অল ইন্ডিয়া এগ্রি ট্রান্সপোর্ট কল সেন্টার প্রচলন করা হয়েছে। তিনি সকলকে ব্যাপকভাবে ই-এনএম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি সামাজিক দূরত্ব এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মানদণ্ডগুলি নিশ্চিত করে রাজ্যগুলিকে কৃষিক্ষেত্রের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ছাড় এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।
২০২০-২১ বছরের জন্য খাদ্যশস্য উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৮ মিলিয়ন টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৯২ মিলিয়ন টন।
জাতীয় কৃষি সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে রাজ্য কৃষিমন্ত্রী পরোষোত্তমভাই রুপালা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার সুবিধা কৃষকদের বোঝাতে হবে। তিনি আরও বলেন যে, আমাদের দেশে কৃষি ও উদ্যানতত্ত্ব ক্ষেত্র অনেক রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত বছর (২০১৮-১৯) রেকর্ড খাদ্যশস্য উত্পাদন ছাড়াও, দেশে প্রায় ২৫.৪৯ মিলিয়ন হেক্টর এলাকা থেকে প্রায় ৩১৩.৮৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উদ্যানজাত ফসল উত্পাদন হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ফলের মোট উত্পাদনের ১৩ শতাংশ হিসাবে কাজ করে। তিনি জানিয়েছেন, চিনের পরে সবজি উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত।
এমওএস (কৃষি) কৈলাশ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, বৃষ্টিপাত এবং জলবায়ু পরিবর্তন হলেও ২০১৮-১৯ সালে প্রায় ২৮৫ মিলিয়ন টন রেকর্ড খাদ্যশস্য উতপাদিত হয়েছে, যার পরিমাণ আরও বেড়ে ২০১৯-২০ বছরে ২৯২ মিলিয়ন টন হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, বিভিন্ন প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নিবেদিত ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments