
লকডাউনে কৃষকদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, তার উপর সরকারের দৃষ্টি থাকবে এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন সরকার। তাই কৃষকদের ত্রাণ সরবরাহের পাশাপাশি কৃষি মন্ত্রণালয় একটি ভারতীয় কৃষি পরিবহন কল কেন্দ্র প্রচলন করেছে। সরকার বিশ্বাস করে যে, দেশে কৃষি পরিবহন কল সেন্টার প্রচলন করার মাধ্যমে শীঘ্রই আন্তঃরাষ্ট্রীয় কৃষি ইনপুট (কৃষির সাথে সম্পর্কিত পণ্য) পরিবহণে সমস্যার সমাধান হবে। এর মাধ্যমে এই লকডাউনেও শাকসবজি, বীজ, কীটনাশক এবং সার এক রাজ্যে থেকে অন্য রাজ্যে যেতে কোনও সমস্যা হবেনা।
কৃষকেরা যে কোন সাহায্যের জন্য এই নম্বরগুলিতে কল করতে পারেন -
কৃষি মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি অনুসারে, অল ইন্ডিয়া এগ্রি ট্রান্সপোর্ট কল সেন্টারের দুটি নম্বর রয়েছে (১৮০০১৮০৪২০০ এবং ১৪৪৮৮)। যে কোন জায়গার সর্বস্তরের কৃষকেরা সকল ধরণের সাহায্যের জন্য এই নম্বরগুলিতে কল করতে পারেন।

এর মাধ্যমে যারা উপকৃত হবেন -
সরকারের প্রচলিত এই ব্যবস্থার দ্বারা এখন থেকে শাকসবজি ও ফলের আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহন সারাদেশে সুচারুভাবে পরিচালিত হতে পারে। ট্রাক ড্রাইভার, সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী, খুচরা বিক্রেতা বা অন্য যে কেউ উপরের উল্লিখিত পণ্যদ্রব্যের আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহণে সমস্যা অনুভব করছে তারা কল সেন্টারে কল করে সাহায্য চাইতে পারেন।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন দ্বারা বীজ সরবরাহ করা হবে -
কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “কল সেন্টার নির্বাহী যানবাহন ও চালানের বিশদ পাঠাতে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ,সেগুলি সমাধান করতে এটি সহায়তা করবে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের (এনএফএসএম) আওতাধীন রাজ্যগুলিতে বীজের সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং এনএফএসএম প্রকল্পের আওতায় বীজ সম্পর্কিত ভর্তুকি দশ বছরের কম বৈচিত্র্যের জাতের জন্য বৈধ হবে”।

প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ যোজনার আওতায় ৪০০০ টন ডালের বিনামূল্যে বিতরণ -
কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, "এনএফএসএমের আওতাধীন সমস্ত ফসলের জন্য উত্তর পূর্বের অনুদানপ্রাপ্ত অঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে রাজ্য পরিবহন পরিচালনার অনুমতি নেওয়া দরকার।" তিনি আরও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ যোজনার অধীনে প্রায় ৪০০০ টন ডাল রাজ্যগুলিতে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে, যা প্রতি মাসে (তিন মাসের জন্য) রেশন কার্ডভোক্তাদের ১ কেজি দেওয়া হবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments