গাছের ভালো বৃদ্ধির জন্য সালফার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাটিতে পাওয়া সালফার শুধুমাত্র মাটির গুণমানই বাড়ায় না, গাছের ভালো বৃদ্ধিও ঘটায়। কিন্তু বর্তমানে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে ফসলের উৎপাদন ভালো হচ্ছে না।
একই সঙ্গে রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে মানুষের মধ্যে রোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। এমতাবস্থায় এসব রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কিছু এলাকায়, প্রধানত কোকোরি, চিনহাট, মাল, মালিহাবাদ ইত্যাদিতে একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে। যেখানে মাটিতে সালফারের তীব্র ঘাটতি রয়েছে (Severe Sulphur Deficiency)। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষকদের জন্য একটি পরামর্শ জারি করেছেন।
কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ
মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করার জন্য সময়ে সময়ে কৃষি বিজ্ঞানীরা মাটি পরীক্ষা করে থাকেন । মাটি পরীক্ষার সময় জেলার মাটিতে প্রমিত পরিমাণে সালফারের পরিমাণ খুবই কম পাওয়া গেছে। এতে ফসলের বৃদ্ধি যেমন থমকে গেছে, তেমনি গাছপালাও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কৃষকরা যদি সময়মতো এসব সার ব্যবহার বন্ধ না করেন, তাহলে এই মাটি গাছের স্বাস্থ্য সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করবে। তাই সকল কৃষকের উচিত সময়মতো এর ব্যবহার কমানো।
মাটিতে জিপসাম ব্যবহার করুন
কৃষকদের মাটিতে জিপসাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । গোবর থেকে তৈরি সার ব্যবহারের পাশাপাশি সবুজ সার মাটির স্বাস্থ্যও উন্নত করবে। কৃষকদের কীটনাশকের পাশাপাশি রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া সময়ে সময়ে মাটি পরীক্ষা করতে থাকুন।
মাটি পরীক্ষা করুন
জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ফসল থেকে উৎপাদনও ভালো হবে। তাই সকল কৃষককে অবশ্যই তাদের ক্ষেতের মাটি পরীক্ষা করাতে হবে, কারণ এতে করে সঠিক পরিমাণে নাইট্রোজেন, ফসফেট এবং পটাশ মাটিতে পাওয়া প্রধান পুষ্টিগুণ জানা যায়।
Share your comments