'ঝুম' পদ্ধতির চাষের কথা শুনেছেন? জেনে নিন চাষের সুবিধা-অসুবিধা

ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ এবং জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ক্রমাগত নিত্য-নতুন ....

KJ Staff
KJ Staff
ঝুম চাষ পদ্ধতি।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ভারত একটি কৃষিপ্রধান দেশ এবং জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ক্রমাগত নিত্য-নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। প্রাচীনকালে যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে কৃষি কাজ করা হত অনেক ক্ষেত্রে আজও সেই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে কৃষিকাজ করা হয়।যার মধ্যে একটি হল ঝুম পদ্ধতি। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা ঝুম পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।

আমাদের দেশে অনেকই আছে যারা ঝুম পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। তথ্যের অভাবে অনেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন না।

ঝুম চাষ পদ্ধতি

"ঝুম চাষ" এক ধরনের স্থানান্তরিত কৃষিপদ্ধতি। এটি মূলত জঙ্গল কেটে বা পুড়িয়ে চাষ করা হয়। জমির উর্বরতা কমে গেলে পূর্বের স্থান হতে কৃষি জমি স্থানান্তরিত করে অন্যত্র আবার কৃষি জমি গড়ে তোলা হয় । পাহাড়ের গায়ে ঢালু এলাকায় এই চাষ করা হয়। এই পদ্ধতির চাষে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

ঝুম পদ্ধতির মাধ্যমে এই ফসলগুলি চাষ করা যেতে পারে

ঝুম পদ্ধতির মাধ্যমে ভুট্টা, লঙ্কা এবং শাকসবজি সহ  প্রধান ফসল চাষ করা যায়। এই পদ্ধতিতে বেশিরভাগ শাকসবজি এবং স্বল্প মেয়াদী ফসলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং মাটিতে জন্মানো আগাছা মাটিতে ছেড়ে দেওয়া হয় যা পরবর্তী ফসলের জন্য সার হিসাবে কাজ করে।

আরও পড়ুনঃ Krishak Bandhu: কৃষকবন্ধু নিয়ে বড় আপডেট, চলতি মাসেই আসতে চলেছে প্রকল্পের টাকা

ঝুম চাষের উপকারিতা

এই ধরনের চাষে গভীর চাষ ও বপনের প্রয়োজন হয় না। এতে ক্ষেত পরিষ্কারের পর মাটির উপরের স্তর হালকাভাবে সরিয়ে বীজ বপন করলেই বীজের অঙ্কুরোদগম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি বেশিরভাগ পশ্চাদপদ বা পাহাড়ি এলাকায় ব্যবহৃত হয়, যা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির নাগালের থেকে অনেক দূরে যা কৃষকদের জন্য একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া।

ঝুম চাষের অসুবিধা

মাটির পুষ্টি উপাদান ফুরিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বার গাছপালা জন্মানোর সময়ের মধ্যে ১৫-২০ বছরের পার্থক্য থাকে এবং তা কেটে পুড়িয়ে ফেলা হয়, যার কারণে এই পদ্ধতিতে চাষ করা অসম্ভব। সমতল ভূমির পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হয়।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ টাকা উপার্জন! ময়নাগুড়ির ড্রাগন চাষী অজিত সরকার

ঝুম চাষে খাদ্য নিরাপত্তা

স্থানান্তরিত কৃষি গ্রহণকারী সম্প্রদায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু কৃষি স্থানান্তরিত খাদ্য নিরাপত্তা পরিবারগুলিকে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ প্রদান করে না। MNREGA কৃষির স্থানান্তর থেকে মানুষের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা দূর করার জন্য একটি প্রভাব ফেলতেও কাজ করছে। মৌলিক খাদ্য সামগ্রী এবং শস্যের ব্যাপক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম প্রসারিত হচ্ছে। আগে জুম চাষীরা ১০-১২ বছর পর পতিত জমিতে ফিরত কিন্তু এখন তারা ৩-৫ বছরে ফিরে আসছে কারণ এটি মাটির গুণমানকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।

Published On: 07 April 2023, 05:29 PM English Summary: Have heard about 'Jhum' method of farming, know the pros and cons of farming

Like this article?

Hey! I am KJ Staff . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters