কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ভালো ফলনের জন্য সুষম সারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সার প্রয়োগ করতে দুটি বিষয়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখা দরকার। প্রথমত. ধানের জাত, জীবনকাল ও ফলন মাত্রার ওপর ভিত্তি করে সারের মাত্রা ঠিক করা। দ্বিতীয়ত. সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কোন সার কখন ও কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা নির্ধারণ করা। সার ব্যবহার করে অধিক উৎপাদন ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াই সবার কাম্য। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে সারের মাত্রা নির্ণয় করা সর্বোত্তম। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় সার সুপারিশ গাইড অনুযায়ী কিংবা অনলাইনে সার সুপারিশ নির্দেশিকা সফটওয়্যার ব্যবহার করেও সারের মাত্রা জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশকের পরিচিতি ও নিরাপদ প্রয়োগের সুরক্ষাবিধি
বোরো ধানের পরিচর্যা করবেন যেভাবে
বীজতলায় মাজরা, শ্যামা ও ভেঁপু পোকা এবং ঝলসা রোগের আধিক্য দেখা যায়। মাজরা পোকার আক্রমণে মরা পাশকাঠি দেখতে পাওয়া যায়। রোয়ার সময় চারার আঁটির ডগা ছিঁড়ে ফেলতে হবে, যাতে মাজরার ডিম নষ্ট হয়ে যায়। রোয়ার ৮-১০ দিন আগে বীজতলায় দানাদার কীটনাশক প্রয়োগ করে জল ধরে রাখতে হবে।
বোরো চাষে সার প্রয়োগের কৌশল
বোরো ধান ফসলের জন্য কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতামত, বোরো রোপণের জমিতে প্রয়োজনীয় সার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। কৃষকরা ধানের চারা লাইন করে রোপণ করবেন। চারা রোপণের সময় বেশি ঘন করে রোপণ না করে আট ইঞ্চি X ছয় ইঞ্চি দূরত্বে চারা রোপণ করবেন।
জমির আগাছা মারার জন্য কমিট বা সুপারহিট ক্রিয়ার বা রিফিট-৫০০ইসি এর যে কোনো একটি আগাছানাশক বিঘাপ্রতি ১৩৪ এমএল হারে চারা রোপণের ছয়দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃহবে মুকুলের আগমন! আম আসার পর গাছে রোগবালাই হবে না,বাম্পার ফলন হবে
চারা রোপণ থেকে ফসল তোলা পর্যন্ত করণীয়
১. চারা রোপণের ৪০-৫০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করুন।
২. চারা রোপণেরে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিঘা প্রতি চার থেকে পাঁচটি ভালো কঞ্চি পুঁতে দিন।
৩. নিয়মিত ক্ষেতে হেঁটে হেঁটে পোকামাকড়ের ও রোগবালাইয়ের আক্রমণের তীব্রতা লক্ষ্য রাখবেন।
৪. থোড় আসার সময় থেকেই আলোক ফাঁদের সাহায্যে কারেন্ট পোকার উপস্থিতি বোঝার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা নিন।
৫. পোকামাকড়ের প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য চারা রোপণের ৩০-৩৫ দিন বয়সে একবার ও ধানের ফুল ফোটার পরপরই দুইবার সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করবেন।
৬. রোগবালাই শনাক্তকরণের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা নিন।
Share your comments