কৃষিজাগরন ডেস্কঃ মাখানা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরে ডায়াবেটিস থেকে কোলেস্টেরলের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। হাড় মজবুত করা থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত এটি খুবই সহায়ক। আমাদের দেশে, বিহারে ৮০ শতাংশ মাখনা চাষ হয়, কারণ এখানকার জলবায়ু মাখানা চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। এছাড়াও আসাম , মেঘালয় এবং ওড়িশাতেও এটি প্রচুর পরিমাণে জন্মে । আসুন জেনে নেই মাখান চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
মাখানা চাষ পদ্ধতি
মাটি
মসৃণ দোআঁশ মাটি এর চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। জলাশয় , পুকুর ও নিচু জমি যেখানে ৪-৬ ফুট পর্যন্ত পানি জমে থাকে , সে জায়গা চাষের জন্য ভালো।
আরও পড়ুনঃ কালো চাল উৎপাদনে শীর্ষ স্থানে পশ্চিমবঙ্গ
বপন
এর বপনের জন্য, মাখানার বীজ পুকুরে ছিটিয়ে দেওয়া হয় এবং বীজ বপনের ৩৫ থেকে ৪০ দিন পরে, জলের ভিতরে গজাতে শুরু করে। এর গাছপালা দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে পানির পৃষ্ঠে দেখা দিতে শুরু করে।
চারা
এই পদ্ধতিতে মাখানা চাষের জন্য মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে মাখানার সুস্থ ও নবজাতক চারা রোপণ করা হয়। বীজ বপনের 2 মাস পরে বেগুনি রঙের ফুল গাছে দেখা দিতে শুরু করে । 35 থেকে 40 দিন পরে , ফলগুলি সম্পূর্ণভাবে পাকে এবং মণ্ড হয়ে যায় এবং ফেটে যেতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ নারকেল গাছের পরিচর্যা করুন এই ভাবে
নার্সারি
মাখানা একটি জলজ উদ্ভিদ। নার্সারি তৈরির জন্য প্রথমে জমিতে ২-৩ বার গভীরভাবে লাঙল দিতে হবে এবং গাছের সঠিক বিকাশের জন্য আনুমানিক পরিমাণ নাইট্রোজেন , ফসফরাস , পটাশ মাটিতে মিশিয়ে জমিতে ২ ফুট উঁচু বাঁধ তৈরি করতে হবেএর মধ্যে 1.5 ফুট পর্যন্ত জল যোগ করুন ডিসেম্বর মাসে এতে মাখানার বীজ রেখে দিন এবং মার্চের শেষে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত হয়।
ফসল কাটা
সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে মাখান কাটা হয়। মাখানা পুকুরের পানির নিচে বসে কাটা হয় এবং বাকি এক-তৃতীয়াংশ বীজ পরের বার অঙ্কুরিত হতে থাকে।
Share your comments