কৃষিজাগরন ডেস্কঃ এই চাষের জন্য খুব একটা সারের প্রয়োজন হয়না যদি জমিতে জৈব সার দেয়া হয় তবে রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করলেও চলবে এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে N:P:K ৬০:৪০:২০ কেজি/ হেক্টর ব্যবহার করা যেতে পারে এতে চাপান সারের প্রয়োজন নেই।
আগাছা দমন:
ঢেমশির জমিতে খুব একটা আগাছা দেখতে পাওয়া যায় না কারণ ঢেমশি গাছে একধরণের পদার্থ থাকে যা আগাছা জন্মাতে দেয়না এবং ঢেমশি গাছের পাতা চওড়া থাকায় গাছের নিচে কোনো আগাছা জন্মায় না।
জল সেচ:
ঢেমশি বোনের সময় যদি জমিতে উপযুক্ত রস থাকে তাহলে জলসেচ না দিলেও চলবে এবং জমিতে রসের পরিমান কম থাকলে হালকা জলসেচ দেয়ার প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ উন্নত প্রযুক্তিতে ঢেমশির চাষ
রোগপোকা:
রোগ বলতে পাতাতে ছত্রাক জনিত মরছে রোগ দেখতে পাওয়া যায় এর জন্য কার্বেন্ডাজিম বা মেনকোজেব ২.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে। এতে পোকার উপদ্রব নেই বললেই চলে।
গাছের বৈশিষ্ট:
গাছ টি একবর্ষ জীবি, উচ্চতা ৬০-১৫০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এটি রসালো শাখা প্রশাখা যুক্ত। জাত অনুসারে বিভিন্ন রঙের ফুল হয় (লাল, গোলাপি, সাদা,ও হালকা সবুজ) বীজ বোনার ৩০-৪০ দিনের মাথায় ফুল আসে, জীবনকাল ৯০-১১০ দিন।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের জন্য বড় বিপদ!
ফসল তোলা:
গাছের ফুল গুলি শুকিয়ে গেলে বুজতে হবে ফসল তোলার সময় হয়ে এসেছে এবং দেখতে হবে বীজে ১৬% আদ্রতা থাকা অবস্থায় গাছ কেটেনিতে হবে , এর পর ৩-৪ দিন রোদ্রে রেখে গাছ থেকে বীজ বের করেনিতে হবে।
ফলন:
সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে হেক্টর প্রতি ১৫-১৭ কুইন্টাল ফলন পাওয়া যাবে ।
চাষ বাসের আয় ব্যায়:
১. জমি তৈরি: ৫০০০ টাকা
২. শ্রমিক : ৭০০০ টাকা
৩. বীজ : ৩০০০ টাকা
৪. রাসায়নিক সার : ৪১০০ টাকা
৫. জলসেচ : ৫০০ টাকা
৬. কীটনাশক/ রোগ নাসাক : ১০০০ টাকা
৭. ফসল তোলা : ২০০০ টাকা
৮. পেকেটিং : ১০০০ টাকা
মোট খরচ : ২৩৬০০ টাকা
১৭ কুইন্টাল বীজের দাম ৫০ টাকা প্রতি কেজি হিসাবে ৮৫০০০ টাকা
লাভ : ৮৫০০০ - ২৩৬০০ = ৬১৪০০ টাকা প্রতি হেক্টরে।
ড:দেবাশীষ মাহাত
বিষয় বস্তু বিশেষজ্ঞ (শস্য বিজ্ঞান বিভাগ)
উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
Share your comments