উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: হোয়াইট টিচার ফুলকপি চাষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি-২ গ্রামের গেঘিরবাড়ি এলাকার একজন কৃষক মানিক চন্দ্র সরকার। এক বিঘা জমিতে ফাল্গুন-চৈত্র মাসের হোয়াইট টিচার ফুলকপি চারা গাছ রোপন করেন।
চারা গাছ লাগার ১৫-২০ দিনের মধ্যেই কালো পোকার আক্রমণ ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। ফুলকপি গাছে কালো রঙের পোকা ছড়িয়ে পড়েছে, যা কীটনাশক স্প্রে করার পরও দমন করা যাচ্ছে না। কৃষকের কথায় জানা যায়, পোকা দমনের জন্য স্থানীয় বাজারের ফার্মেসির দোকান থেকে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন। যদিও কয়েকবার স্প্রে করার পরেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না আক্রমণ। একবিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে মোট খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা আর কীটনাশক বাবদ চার-পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। এরপরও কোনো কাজ হয়নি।
আরও পড়ুনঃ জৈব চাষে আগ্রহী? সাহায্য করবে কেন্দ্র, জেনে নিন এই প্রকল্পগুলি
ফুলকপি কৃষক মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, পোখরাজ আলুতে লাভ না হওয়ায় ওই জমিতেই ফাল্গুন মাসের শেষ দিকে ফুলকপি চারা গাছ লাগানো হয়। কিন্তু গাছ লাগার বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই কালো পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এরপর পোকার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কয়েকবার কীটনাশক স্প্রে করার পরও পোকা দমন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন যদি সেই পোকা দমন করা সম্ভব হয়ে না উঠে তাহলে আলুতে যে হারে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে একই ভাবেই ফুলকপি চাষ করেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এ বছর যদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় আগামী বছর বিকল্প চাষ করতে হবে। আর এই ফুলকপি ৬০ দিনের মধ্যেই বিক্রির জন্য উপযুক্ত হয়ে যায়।
Share your comments