কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে ধান কেনার জন্য রাজ্য সরকার সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ধান সংগ্রহ শুরু হওয়ার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে । অনেক জায়গায় ধান সংগ্রহ করা এখনও শুরু হয়নি ফলে কৃষকরা বাধ্য় হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে ধান বিক্রি করতে । এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।কারন ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে ধান কেনা হয় ২০.৫০ টাকা দিয়ে। অন্যদিকে কৃষকরা মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে প্রতি কেজি ধান ১২ টাকায় বিক্রি করছেন।
কৃষকরা বলছেন, লাম্পাসে ধান বিক্রির প্রক্রিয়া জটিল। টাকা পেতে দেরি হচ্ছে। যেখানে অন্য ফসল লাগানোর জন্য তাদের মূলধনের প্রয়োজন। এমতাবস্থায় টাকা পেতে দেরি হলে অন্য ফসল লাগাতে দেরি হয়। এছাড়াও বাড়িতে ধান রাখলে ইঁদুর নষ্ট করে দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কম দামে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা
ঝাড়খণ্ডের বাজারে কৃষকরা মহাজনদের কাছে ধান বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ১২-১৩ টাকা দরে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, তারাও সরকারি দরে ধান বিক্রি করতে চান। কিন্তু টাকা পেতে দেরি হয় তাই তারা মহাজনদের কাছে ধান বিক্রি করছে। কৃষকদের জরুরী অর্থের প্রয়োজন তাই তারা বাজারে ধান বিক্রি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করেন ।
এসএমএস করেও কৃষকরা আসছেন না
তথ্য় অনুযায়ী , জেলার নয়টি ধান সংগ্রহ কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত মোট ২৩২ জন কৃষক ৭৭২৭.৫৮ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছেন। গোবিন্দপুরে অবস্থিত ধান সংগ্রহ কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত কোনো কৃষক ধান বিক্রি করেননি, যেখানে মোট ৫১৫১ জন কৃষক ধান বিক্রির জন্য নথিভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে ২১৭১ জন কৃষককে ধান বিক্রির বিষয়ে এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ MSP-তে ধান কেনার জন্য নতুন নিয়ম চালু করল FCI, নতুন খসড়া নিয়ে হৈচৈ, কৃষকদের অসন্তোষের কারণ কী?
ধান বিক্রি করা কৃষকের সংখ্যা খুবই কম
ঝাড়খণ্ডের একটি ধান ক্রয় কেন্দ্রে মাত্র ৪৯ জন কৃষক ১৭৩২.১৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছেন। যেখানে ৮৫ জন কৃষককে ধান বিক্রির জন্য এসএমএস পাঠানো হয়েছিল। এই কেন্দ্রে ২৪৮ জন কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিবন্ধন করেছেন।একই সময়ে, আরকির ধান সংগ্রহ কেন্দ্রে ১৩ জন কৃষকের কাছ থেকে ৩৯২.৪০ কুইন্টাল ধান সংগ্রহ করা হয়েছে । এখানে ৫৮৩ জন কৃষক নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন । এর মধ্যে ১২২ জন কৃষককে এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাজারে আসতে চলেছে নতুন ট্র্য়াক্টর VEER- 20, জানুন এর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং অন্যান্য বিবরণ
ধান সংগ্রহে পিছিয়ে আছে
খুন্তিতে অবস্থিত ধান সংগ্রহ কেন্দ্রে ৭৪২ জন কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে ৩৪৫ জনকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে এবং ২২ জন কৃষক কেন্দ্রে পৌঁছে ৬৭২.৮০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছেন। মুরহুতে, ৩২ জন কৃষক ১০৩৫.৮৪ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছেন । এখানে ৮১৪ জন কৃষক নিবন্ধন করেছেন, যার মধ্যে ৪৮৭ জন কৃষককে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে, তপকারা, সোসোকুটি এবং রানিয়ায় মোট ৫৮ জন কৃষক ১৯৩৬ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছেন। অথচ ৪০৫ জন কৃষককে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে সরকারি দরে ধান বিক্রি করতে নিবন্ধন করেছেন ৯৬৫ জন কৃষক।
Share your comments