কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বর্তমানে বায়োটেকনোলজির ক্ষেত্রে খুব দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে। এর সুফল কৃষির পাশাপাশি অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেও পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে জৈবপ্রযুক্তি কৃষি খাতে বিপ্লব এনেছে। বায়োটেকনোলজির সাহায্যে কৃষকরা এখন উচ্চ ফলন ও উন্নত মানের ফসল ফলাতে সক্ষম। এর ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কৃষিতে অনেক নতুন পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে যা ফসলের ফলন বাড়াতে সাহায্য করছে।এছাড়া পোকামাকড় ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও এই প্রযুক্তি কার্যকর। বায়োটেকনোলজির মাধ্যমে কৃষকরা তাদের ফসলের গুণগত মান এবং ফলন উভয়ই উন্নত করছে। আসুন জেনে নিই কৃষিক্ষেত্রে জৈবপ্রযুক্তি কী কী উপায়ে সাহায্য করছে।
আরও পড়ুনঃ সিসলের আমদানি এবং দাম
বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়োটেকনোলজি কৃষি খাতে অনেক সাহায্য করেছে। এটি কৃষক এবং কৃষি উৎপাদনশীলতার জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে, উচ্চ ফলন সহ নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।খরা সহনশীল উদ্ভিদ উদ্ভাবন করা হয়েছে যাতে খরা পরিস্থিতিতেও ভাল ফসল হয়। বায়োটেক খাদ্য নিরাপত্তাও উন্নত করেছে।ফসলের মনিটরিং এখন সহজ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উন্নত পদ্ধতিতে সিসল চাষের মাধ্যমে আদিবাসী চাষির অর্থনৈতিক উন্নয়ণ
ফসলের নতুন জাত
জৈব প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেক ফসলের নতুন ও উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের মতো ফসল। এই নতুন জাতগুলিতে, ফসলের ফলন বৃদ্ধি এবং রোগ ও কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে শক্তিশালী করার বৈশিষ্ট্যগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব উন্নত বায়োটেক ফসল চাষ করে কৃষকরা আগের চেয়ে বেশি ফলন পাচ্ছেন। এর পাশাপাশি এসব ফসলের মানও ভালো এবং বাজারে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এতে কৃষকদের আয় বেড়েছে।
উন্নত গুণমান
জৈবপ্রযুক্তির সাহায্যে শস্য, ডাল এবং শাকসবজির মতো ফসলের পুষ্টির মান উন্নত করা হয়েছে। এসব ফসলে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, জিংক, ভিটামিন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
কীটনাশক দিয়ে ভালো জাতের ওষুধ তৈরি করা
জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ফসলের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন যা পোকামাকড় ও জীবাণুর আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এগুলোকে বলা হয় 'কীট প্রতিরোধী' ও 'রোগ প্রতিরোধী' ফসল। কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার ছাড়াই কীটনাশক এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এমন গুণাবলী এই ফসলগুলিতে যুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে কৃষকদের ফসল রক্ষায় রাসায়নিক ওষুধে খরচ করতে হয় না।
Share your comments