দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে রাসায়নিক মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । এ জন্য রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে জৈব সারকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের জৈব চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
জৈব সার ব্যবহার করে কৃষকরা কম খরচে বেশি ফলন পেতে পারে এবং এতে পোকামাকড় ও রোগের ঝুঁকিও কম থাকে। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশের বৃহত্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় জৈব সার তৈরি করে কৃষকদের এই সমস্যার সমাধান করেছে । উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের কৃষকরা রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ১৫ থেকে ২০শতাংশ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে ।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন বৃষ্টির হাত থেকে কিভাবে পেঁয়াজকে রক্ষা করবেন
মধ্যপ্রদেশের বৃহত্তম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীরা ১৫ ধরনের জৈব সার তৈরি করেছেন । তার নাম রাখা হয়েছে জওহর ফার্টিলাইজার । বিজ্ঞানীদের মতে, জওহর জৈব সার ব্যবহারের ফলে ফসলের উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি ফসলের গুণগত মানও অনেক উন্নত হবে। এই সমস্ত জৈব সারগুলিতে বিমোচনযোগ্য পটাশ, ফসফরাস, জিঙ্ক, পচনশীল পাতা,ধান ও গমের অবশিষ্টাংশ রয়েছে, যা বাতাস থেকে নাইট্রোজেন শোষণ করে।
জওহরলাল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দুই ধরনের জৈব সার তৈরি করেছেন। কৃষকরা পাউডার ও তরল দুই ধরনের সার পাবেন । এটা কৃষকদের উপর নির্ভর করবে তারা কোন সার নিতে চান। কৃষকরা চাষের জন্য ছয় মাস গুঁড়ো জৈব সার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তরল সার এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ সূর্যমুখী চাষ করে আপনিও লাখ টাকা আয় করতে পারবেন, জেনে নিন সবকিছু
জৈব সার ব্যবহারের সুবিধা
- জৈব সার দিয়ে কৃষকরা দীর্ঘদিন চাষ করতে পারেবে। এতে পরিবেশ ও মাটির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না ।
- জৈব সার সস্তা এবং কৃষকরা তাদের বাড়িতেও জৈব সার তৈরি করতে পারেবেন । তাই রাসায়নিক সার কেনার তুলনায় কৃষকদের খরচ কম হবে । এতে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে।
- বাজারে রাসায়নিক মুক্ত ফসলের ভালো চাহিদা রয়েছে এবং এর দামও ভালো পাওয়া যায় ।
Share your comments