সহজ সরল, দিনে আনা দিনে খাওয়া মানুষ গুলোর জীবন ও জীবীকার উন্নতিতে এবার ভাবার পালা। সত্যিইতো সব কিছুর পরিবর্তন হলেও আদিবাসী মানুষদের জীবন সেভাবে এখনও পরিবর্তন হয়নি। তবে আর না এবার আদিবাসী মানুষের জীবিকার কথা ভেবে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ভেষজ ও সুগন্ধিযুক্ত গাছ-গাছালির চাষাবাদের কাজ শুরু করল পুরুলিয়া বনবিভাগ। অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে বনবিভাগ।
সুত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে রাজ্যের স্টেট প্ল্যান ও গ্রিন ইন্ডিয়া মিশন প্রকল্পের অর্থে এই চাষাবাদের কাজ শুরু হয়েছে। এই চাষাবাদের মধ্য দিয়েই আদিবাসী গ্রাম গুলির আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে চাইছে বনদফতর। মিডিয়া সুত্রে খবর, পুরুলিয়া বিভাগের ডিএফও দেবাশিস শর্মা জানিয়েছেন, আগামীদিনে আদিবাসী মানুষের জীবিকার কথা ভেবে অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে যৌথ বন পরিচালন সমিতির তত্ত্বাবধানে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এই চাষাবাদে খুবই আশাবাদী বনদফতর। এবং আগামীদিনে এই উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরনেরও ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ পাঞ্জাবের কৃষক মাশরুম চাষ করে বছরে 18 থেকে 20 লক্ষ টাকা আয় করছেন
বনবিভাগ সুত্রে খবর, অযোধ্যা বনাঞ্চল সংলগ্ন তেলিয়াভাষা, হেসাডি, কুসুমটিকরি, চিরুবোরা গ্রামগুলিতে এই চাষাবাদের কাজ শুরু হয়েছে। এই কর্মযজ্ঞে আটটি যৌথ বন পরিচালন সমিতির প্রায় ৫০ জন সদস্য যুক্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে ৩০ বিঘা জায়গা জুড়ে চাষ শুরু হলেও, আগামী দিনে এর পরিধি আরও বাড়বে। এই কাজ মূলত ওয়াইল্ড লাইফ, ন্যাচার অ্যান্ড ইকোলজি নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে। ভেষজ চাষে অনেক উপকার পাবে বলে মনে করছেন বনদফতর। ভেষজ চাষাবাদে চিয়া বীজ ও কেমোমিল বা কেমোমাইল চাষ শুরু হয়েছে।
Share your comments