
সাধারণ চাষীরা ফসলে অনুখাদ্য ব্যবহার আজ থেকে ১২-১৫ বছর আগে সার্বিক ভাবে শেখা শুরু করেছে।কিন্তু এখনো যদি প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে দেখা যায় যে চাষীরা সেভাবে অনুখাদের ব্যবহার করছেন না।মূল সার গুলি দিয়েই তাঁরা নিরস্ত থাকছেন।এর কারণ অনুসন্ধান করলে যে সব তথ্য জানা যায় তা হলো, মূলতঃ অনুখাদ্যের ব্যবহারের গুরুত্ব ঠিক মতো না বোঝা ও দিন দিন রাসায়নিক সার এর পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে করতে তাদের খরচের পরিমান এতটা বেড়ে গেছে উপরন্তু উৎপন্ন ফসল অনেক সময়ই ফসলের সঠিক দাম না পেয়ে তাঁরা চাইছেন যেভাবেই হোক তাঁদের খরচা কমুক।তাই অনেক ক্ষেত্রই দেখা গেছে অনুখাদের বিষয়টি অবহেলার জায়গায় থেকে গেছে।
শুধুমাত্র ইউরিয়া, ফসফেট, পটাশ এইটুক দিয়েই ক্ষান্ত হতে তারা চেয়েছেন।
অনুখাদ্য আসলে খুবই কম পরিমানে গাছের লাগে না হলে, পুষ্টি, বৃদ্ধি, ফুল ও ফল ধারণ সব কিছুই ব্যাহত হয়।
এই অনুখাদ্য গুলি হলো:বোরন, দস্তা, মলিবডোনাম, লোহা, তামা, ক্লোরিন প্রভৃতি।
১.বোরন:এর অভাবে গাছের ডগা, ও নুতুন পাতা কুঁকড়ে গিয়ে মরে যায়।ফুল ও ফল বিকলাঙ্গ হয়।ফলগুলি ফেটে যেতে শুরু করে।গাছের বাকল ফেটে যায়।ফুলকপি জাতীয় সব্জির কান্ড ফাঁপা হয়ে যায়।
২.মলিবডোনাম:বাঁধা কপির পাতার মধ্য শিরা বেড়ে গিয়ে চাবুকের মত হয়।গমের কচি পাতা বিবর্ণ হয়ে শুকিয়ে যায়।সর্ষে পাতার ফলক কমে গিয়ে কাপের মত দেখতে হয়।
৩.দস্তা(জিঙ্ক):পাতা ছোট হয়ে গুচ্ছাকার ধারণ করে।পর্ব মধ্য ছোট হয়ে যেতে থাকে।ধানের খয়রা রোগ হয়।পাতায় আন্তঃশিরা ক্লোরোসিস দেখা দেয়।
৪.ম্যাঙ্গানিজ:পাতার শিরার মাঝা মাঝি অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়।টমেটোর পাতায় ভঙ্গুরতা দেখা দেয়।আলুর পাতার শিরার পাশ দিয়ে বাদামি দাগ দেখা যায়।
৫.লোহা:পাতা ছোট হয়ে ফ্যাকাসে হয়ে হলুদ হয়ে যায়।পাতায় ক্লোরোসিস এবং কুমড়ো জাতীয় পাতার শিরা হলুদ হয়।
৬.তামা:পাতায় আন্তঃশিরা ক্লোরোসিস।পাতার অগ্র ভাগ বিবর্ণ হয়ে অল্পদিনেই ঝরে যায়।
৭.ক্লোরিন:আন্তঃশিরা ক্লোরোসিস ।
বি:দ্র:-আরো বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আমাদের কৃষি জাগরণ মাসিক পত্রিকায়।
-অমরজ্যোতি রায়(amarjyoti@krishijagran.com)
Share your comments