উৎপল রায়, ময়নাগুড়ি, কৃষি জাগরণ: বাংলার বুকে যেসব ফসলের চাষ করা হয়ে থাকে সেই ফসল গুলির মধ্যে একটি অন্যতম উচ্চমূল্যের বাণিজ্যিক ফসল হল তামাক। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি'র রাজারহাট, সাপ্টিবাড়ি, বর্মপুর, হেলাপাকড়ি-র বিস্তীর্ণ এলাকায় একটা সময়ে ভালো পরিমাণ তামাক চাষ করা হত। বিগত বছর ধরে বিভিন্ন সমস্যার কারণে তামাক চাষে ধীরে ধীরে আগ্রহ হারাতে শুরু করেছিলেন তামাক চাষীদের একাংশ।
দীর্ঘ কয়েক পুরুষ ধরে তামাক চাষ করে আসা তামাক চাষীরাও সঠিক মুনাফার মুখ দেখতে না পারায় ধীরে ধীরে তামাক চাষ থেকে নিজেদের মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে আবার সঠিক মুনাফার মুখ দেখতে পাচ্ছেন তারা। সেই কারণে তামাক চাষে আবার আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে নতুন প্রজন্মের চাষিরা। নির্মল রায় নামে একজন তামাক চাষি জনান, রাজারহাটে ৬০ জন কৃষক তামাক চাষ করেছেন। গত বছর তামাক চাষ কিছুটা কম ছিল এ বছর কিন্তু ভালোই চাষ হচ্ছে।
এবছর বাজার ভালো থাকলে লাভ হবে যদি বাজার কম হয় তাহলে ক্ষতি হবে। একটা সময় এদিকে তামাক চাষ খুব কম ছিল, তবে বর্তমানে আবার মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পুরনো এবং নতুন প্রজন্মের চাষীরা এক সাথে এই তামাক চাষে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। আরেক চাষী দিনেশ বর্মন বলেন, একবিঘা তামাক চাষ করতে সর্ব মোট পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। তামাক চাষে সেরকম ক্ষতি হয় না। ভালো পাতা হলে বিঘা প্রতি ৬ কুইন্টাল হয়। গতবছর ১০ হাজার টাকা কুইন্টাল বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তামাকও কি কৃষিপণ্যের মর্যাদা পাবে?
Share your comments