(New technology in crop cultivation) ফসলের উন্নত ফলনের জন্য এবং সারের খরচ কমাতে ব্যবহার করুন এই চাপান সার

(New technology in crop cultivation) নানা মরসুমি সবজির সঙ্গে কিছুটা আগাম ও অসময়ের সবজি হল এক ভালো আয়ের চাবি কাঠি। তবে সবজির চাহিদা বাজারে থাকায় চাষিরা প্রয়োজনের বেশী সার দেন ফলন বেশী পাওয়া আশায়। বিশেষ করে মূল সারের পরে চাপান সারে সেই সবজির বাজার দর দেখে জমিতে প্রচুর সার প্রয়োগ হয়।

KJ Staff
KJ Staff
Agriculture
Farming land

নানা মরসুমি সবজির সঙ্গে কিছুটা আগাম ও অসময়ের সবজি হল এক ভালো আয়ের চাবি কাঠি। তবে সবজির চাহিদা বাজারে থাকায় চাষিরা প্রয়োজনের বেশী সার দেন ফলন বেশী পাওয়া আশায়। বিশেষ করে মূল সারের পরে চাপান সারে সেই সবজির বাজার দর দেখে জমিতে প্রচুর সার প্রয়োগ হয়।

এর ফলস্বরূপ –

  • মাত্রাতিরিক্ত সার অপচয়ে ও জমিতে আবদ্ধ হয়ে মাটির স্বাস্থ্য খারাপ করে।
  • উৎপাদন খরচ বাড়ে।
  • বেশী শ্রম লাগে।

কখন চাপান সার প্রয়োগ করা উচিৎ -

সাধারণত বেশীরভাগ সবজির ক্ষেত্রে ২৫-৩০ দিনে বা মাস খানেকে একবার ও ৪৫-৫০ দিনে বা মাস দুয়েকে আরেকবার চাপান সারের নিয়ম। তবে বেগুন, পটল, লঙ্কার মত দীর্ঘ মেয়াদী ফলদায়ী সবজিতে পরেও চাষিরা চাপান দেন। আর এই চাপান সারেই খরচ, শ্রম ও অপচয় আর মাটির স্বাস্থ্য বাঁচিয়ে নতুন ধরনের সারে বর্তমানে সবজিতে বাজিমাত সম্ভব।

সার মাটিতে নয় – সার দিন গাছে

চাষিরা নিজেদের প্রশ্ন করুন “সার দেন কার জন্য? মাটির জন্য না গাছের জন্য ?” উত্তরটা সোজা সবজি গাছের বাড় বৃদ্ধির জন্যই সার তবে দেন মাটির মাধ্যমে। পৃথিবীর সকল জীবন্ত বস্তুর মতই সবজির বীজ বোনা বা চারা রোয়ার আগে মাটিতে আগাম সার অবশ্যই জরুরী। তাতে চারা প্রথম থেকে শিকড় বাড়িয়ে কিছুটা ডালপালা ছাড়ে। তবে এরপর – সার মাটিতে না দিয়ে জলে গোলা নানা ফর্মুলেশনের মিশ্র সার সরাসরি স্প্রে করে পাতায় দিন।

এতে সুবিধা হল –

  • গাছ তৈরী খাবার সরাসরি পাতা দিয়ে পাবে।
  • মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও সবজি লাগানোর পরে মাটি ঠিক না থাকলে ফলনের আশা।
  • সারের খরচ কমবে।
  • প্রয়োগ সুবিধা শ্রমের খরচ কম।
Crop cultivation
Agriculture

জলে গোলা সারের হাল হদিশ -

বাজারে ইফকোর ১৮ : ১৮ : ১৮ ; ১৭ : ৪৪ :০ ও ০ : ০ : ৫০ (এন – পি – কে ) আর নানা কোম্পানীর ১৯ : ১৯ : ১৯ সার পাওয়া যায়। যা চাপানে ৮-১০ গ্রাম প্রতি লিটারে গুলে প্রয়োগ করা যেতে পারে। সবজির রকম ফেরে দীর্ঘমেয়াদী বেগুন, লঙ্কা ও পটলে ফলন তুলে মাসে একবার দিলে খুবই ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা।

তবে বেশ কিছু নামী কোম্পানী এখন ১০০% জৈব ফর্মুলেশনে এন-পি কের ১৯ : ১৯ : ১৯ আবার ১.০ : ২.৬ : ২.৬ ও ১.৮ : ৪.৬ : ০ ও ০ : ০: ৫.০ ( বাজারে প্রাইম প্যাক, ন্যানো এন পি কে ইত্যাদি নামে উপলব্ধ ) নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে চাপানে ১.০ : ২.৬ : ২.৬ ফর্মুলেশন ৫ মিলি প্রতি লিটার জলে সঙ্গে পারলে ১-২ মিলি হিউমিক অ্যাসিড মিশিয়ে চাপান দিলে অত্যাশ্চর্য্য ফল পাবেন। বিশেষ করে অনুসেচ বা ড্রিপ ব্যবস্থায় দারুন ভাবে ফলন ও গুনমান বাড়বে। গাছ পাবে সার, বাঁচবে মাটি আর চাষীর  লাভ।

তথ্য সহায়তায় - 

ড: শুভদীপ নাথ।

Image source - Google

Related link - (Soil examination) অম্লমাটি ও ক্ষারমাটি চিহ্নিত করা হয় কিভাবে? সংশোধনের উপায় কী?

Published On: 17 October 2020, 06:44 PM English Summary: New technology in crop cultivation, use this fertilizer for better yield

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters