ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থা দ্বারা উন্নীত কিছু নতুন ধরণের ধান যা কৃষকদের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে, এবং সাথে সাথে কৃষকদের আয়ের মাত্রাও দ্বিগুণ করবে। চলুন দেখে নি এই নতুন ধরণের ধান গুলি কী কীঃ
সী.এস.আর-৪৬
এই ধানের ধরণটি দীর্ঘমেয়াদী, এর উৎপাদন হতে ১৩০-১৩৫ দিন সময় লাগে। গাছ রোপনের ১০০-১০৫ দিনের মধ্যে ফুল এসে যায়। এই ধরণের ধান গাছের উচ্চতা ১১৫ সেমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ধরণের ধান এন.ডি.আর.কে-৫০০৩৫ ধরণের থেকে ৩৬% বেশী উৎপাদন করতে সক্ষম। এই ধরণের ধানের উৎপাদন খুব সামান্য জমিতে করা যায়, এবং প্রতি হেক্টরে ৬৫ ক্যুইন্টাল ধানের উৎপাদন হতে সক্ষম। যদি অতিউর্বর জমিতে এই ধান বোনা যায় তাহলে এই ধান প্রতি হেক্টরে ৪০ ক্যুইন্টাল পর্যন্ত বেশী উৎপাদন করতে সক্ষম।
সি.এস.আর-৫৬
এই ধরণের ধান ১২০-১২৫ দিনে উৎপাদিত হয়ে থাকে এবং এর ফুল আসতে ৯০-৯৫ দিন সময় লাগে। এই ধরণের গাছের উচ্চতা ১০০ সেমি পর্যন্ত হতে পারে। যে কোনো উন্নত মৃত্তিকায় এই ধানের উৎপাদন ৭০ ক্যুইন্টাল/হেক্টর পর্যন্ত উৎপাদন করা যায়, এমনকি লবন/নরম মাটিতে এই ধানের উৎপাদন ৪৩ ক্যুইন্টাল/হেক্টর উৎপাদন হতে সক্ষম।
সি.এস.আর-৩৬
ধানের এই প্রজাতির উৎপাদন আসতে ১২৫-১৩০ দিন সময় লাগে, এবং এই ধান লবনাক্ত জমিতে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম। এই ধরণের ধানের উৎপাদন চেক সি.এস.আর-৩৬, বী.টী.পী-২২০৪ ও জয়ার তুলনায় যথাক্রমে ৯%,৫৩% ও ৪৩% বেশী উৎপাদন দিতে সক্ষম। ধানের এই প্রজাতিটি গড়ে ৭০ ক্যুইন্টাল/হেক্টর উৎপাদন দিতে সক্ষম।
উপরিউক্ত তিনটি প্রজাতির পাতা ঝলসা, গোঁড়া ঝলসা, মরচে রোগ, ব্যাকটেরিয়াল পাতা ঝলসা, বাদামী মরিচা রোগের সহন ক্ষমতা রয়েছে, এবং এর সাথে পাতা কোঁচকানো রোগ, ও বাইট বেকড প্ল্যান্ট হুপার নামক কীটের আক্রমণ রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান সংস্থা এই তিন প্রকার ধানকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় চাষ করবার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments