এই মাসে আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টির কারণে শাকসবজি ও অনেক ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যে পরিমাণ অর্থ কৃষকরা চাষাবাদে বিনিয়োগ করেছিলেন, ফসল থেকে লাভ তো দূর, সেই বিনিয়োগকৃত অর্থই তারা ফেরত পাবেন কিনা সন্দেহের অবকাশ আছে। কৃষকদের এই ক্ষতি পূরণের জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কৃষকরা তাদের ফসলের বীমা করেছেন, তাদের শীঘ্রই সমীক্ষা করা হবে এবং এই ক্ষতিপূরণের জন্য বীমার অর্থ দেওয়া হবে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী সূর্য প্রতাপ শাহী বীমা সংস্থাকে ১৫ দিনের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করার এবং কৃষকদের ফসলের ক্ষতির পরিমাণের বীমার অর্থ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী বিধান ভবনে প্রধানমন্ত্রী শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্য সম্পর্কে পর্যালোচনা করেছেন। বীমা সংস্থাগুলির প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন যে, সংস্থার টোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ নথিভুক্ত করার পাশাপাশি আবেদন অফলাইনেও গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া, যারা কৃষক ফসল বীমা পাননি তাদের ফসলের ক্ষতি মূল্যায়ন করার জন্য জমি এবং ফসলের পরিমাণ জরিপ করা যেতে পারে।
তিনি লক্ষ্য করেন যে, খরিফ ২০১৯ -এর কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি জাতীয় বীমা, ওরিয়েন্টাল বীমা এবং ইউনিভার্সাল সোম্পো বীমা সংস্থাগুলি এখনও নিশ্চিত করে নি।তাই তিনি বীমা সংস্থাগুলিকে ২৫ শে মার্চ অবধি সুদের হার সহ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন, অন্যথায় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তাদের তালিকাভুক্ত করা হবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments