বিধান জ্যোতি, ও বিধান জগন্নাথ নামে নয়া জাতের আলু দেখতে অনেক রাঙা আলুর মতো। এই আলুর বাইরের সাথে সাথে ভিতরের অংশও কমলা। এই আলুতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, গাজরের চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকরা প্রায় ১০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এই দুই প্রকার মিস্টি আলুর জাতের উদ্ভাবন করেছেন। গবেষণা সফল হওয়ার পর কৃষকদের এই আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে কাটিং (লতা) দেওয়া হচ্ছে। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই আলু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ তৈরীর কাজে লাগবে। ফলে চোখ ভালো থাকবে ও দ্রুত বার্ধক্য আটকাবে।
চারমাসে এই আলু ঘরে তুলতে পারবেন চাষীরা, হেক্টরে ২৬-২৮ কুইন্টাল ফলন অনায়াসেই মিলবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এই সময় কাটিং অর্থাত লতা বড়ো করে নিতে হবে। অন্তত ৮-১০ ইঞ্চির লম্বা লতা বসাতে হবে। এই আলু চাষে বেশি সার দরকার হয়না। জৈব সার দিয়ে চাষ করতে পারলে ভালো। এই চাষে পটাশ ও ফসফেট সার একটু বেশি লাগে, তবে অল্প নাইট্রোজেনেই হয়ে যায়।
- sushmita Kundu
Share your comments