
পশ্চিমবঙ্গ কৃষিপ্রধান রাজ্য। এখানে ধান শুধু প্রধান খাদ্যশস্যই নয়, বরং লক্ষ লক্ষ কৃষকের জীবিকা। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, জমির পরিমাণ হ্রাস এবং খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক কৃষকই ধানচাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ধানচাষকে আবার লাভজনক করে তোলা সম্ভব।
পশ্চিমবঙ্গে ধানের প্রধান মৌসুম
পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত তিন ধরণের ধানচাষ হয়:
- আউশ (গ্রীষ্মকালীন): এপ্রিল-জুন
- আমন (বর্ষাকালীন): জুলাই-নভেম্বর
- boro (শীতকালীন): ডিসেম্বর-এপ্রিল
আমন ও বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়।
আধুনিক ধানচাষ পদ্ধতি
১. উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার
নিম্নলিখিত উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধক জাত ব্যবহার করলে ফলন ও লাভ দুই-ই বাড়ে:
- সুভাষিনী
- MTU-1010
- IR-36
- CR Dhan 601 (climate resilient)
স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করা যেতে পারে।
২. SRI পদ্ধতি (System of Rice Intensification)
- অল্প বয়সের চারা ব্যবহার
- কম জল ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত
- লাইন পদ্ধতিতে রোপণ (25x25 সেমি দূরত্ব)
- হালকা মাটি শুকিয়ে গাছ লাগানো
- ফলন বাড়ে ৩০–৫০% পর্যন্ত।
৩. সার ব্যবস্থাপনা
মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সারের ব্যবহার সবচেয়ে কার্যকর। সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়:
- ইউরিয়া (N)
- সুপার ফসফেট (P)
- পটাশ (K)
ফসলের ১৫ দিন অন্তর অন্তর অবস্থা দেখে সার দিন।
২. SRI পদ্ধতি (System of Rice Intensification)
- অল্প বয়সের চারা ব্যবহার
- কম জল ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত
- লাইন পদ্ধতিতে রোপণ (25x25 সেমি দূরত্ব)
- হালকা মাটি শুকিয়ে গাছ লাগানো
- ফলন বাড়ে ৩০–৫০% পর্যন্ত।
৩. সার ব্যবস্থাপনা
মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সারের ব্যবহার সবচেয়ে কার্যকর। সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়:
- ইউরিয়া (N)
- সুপার ফসফেট (P)
- পটাশ (K)
ফসলের ১৫ দিন অন্তর অন্তর অবস্থা দেখে সার দিন।
Share your comments