পার্থেনিয়াম রাস্তার ধারে, ঘরের পাশে, বনভূমি ঘেঁসে, শস্য ক্ষেতের আলে নি:শব্দে শেকড় মেলছে
এরা। দেখতে সুন্দর। সবুজ বাহারি পাতায় বুটি বুটি সাদা ফুলে কীটপতঙ্গ পোকামাকড়ের সঙ্গে পুষ্প প্রেমিকদেরও চোখ আটকে যায়। বেশ মিস্টি গন্ধ যুক্ত ফুলগুলি!
পার্থেনিয়াম এক থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। তিন থেকে চার মাসের মধ্যে ফুল ফল আসে।
একটা গাছ বছরে চার থেকে পঁচিশ হাজার পর্যন্ত বীজ উৎপাদন করতে পারে।
পার্থেনিয়াম গাছ Sesquiterpene Lactones নামে একটি মারাত্মক বিষের আধার। এর পাতা ফুল ফল শাখা ফুলের রেনু, সর্বত্র বিষে টস টস করছে। যা মানুষ এবং পশুর পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং মারণ ঘাতক।
এই গাছ শস্য খেতের বন্ধু এবং শত্রু পোকা মারে। কেঁচো, ক্যাঁকড়া, ব্যাঙ,শামুক, মাছেদের বংশ ধংস করতে পারে শস্য খেত থেকে। যদি শস্য খেতে ছড়ায়, তাহলে সেই জমির উৎপাদন 40% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। ভুট্টা/গম/সরিষা/বেগুন /লঙ্কা/টমাটো খেত পার্থেনিয়ামের প্রিয় বসত ভূমি।
একবার মাটি পেলে চাষীর 30-40% শস্য নষ্ট করে দেয়। কোনও কীটনাশক দিয়ে এদের দমন বা হাজারো ভিটামিন/হরমোন দিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়ানো যাবেনা।
প্রাণী দেহে, যেমন, গরু ছাগল ভেড়া পার্থেনিয়ামের পাতা ফুল ফল খেলে এর বিষক্রীয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। হাঁচি, সর্দি, গলা ফোলা, জ্বর হয়ে শরীর রক্তাভ হয়ে যায়। কোনও ঔষধ নেই।
মানুষের হাতে পায়ে লাগলে প্রথমে লাল হয়ে ফুলে ওঠে। পরে সেখানে দুরারোগ্য চর্মরোগ সৃস্টি
হয়। ঘন ঘন জ্বর, অসহ্য মাথাব্যাথা, উচ্চ রক্তচাপ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ভারতে এখন পর্যন্ত
12 জনের মৃত্যুর খবর সরকারি ভাবে সমর্থিত হয়েছে। মানুষের পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক হল, এর ফুলের রেনু। বাতাসে ভেসে বেড়ায় বলে এই রেনু ফুসফুসে ঢুকলে দুরারোগ্য হাঁপানী, ব্রঙ্কাইটিস, এবং এলার্জী হয়। দূর্ভাগ্য আমাদের, পার্থেনিয়ামের প্রতিক্রিয়া নষ্ট করার ঔষধ আজ অবধি নেই।
যতটুকু জানা গেছে, এদের জন্ম মেক্সিকো। বর্তমানে আমেরিকা, আফ্রিকা,
তথ্য: সংগ্রিহীত
রুনা নাথ([email protected])
Share your comments