মশারি আমরা প্রায় প্রত্যেকেই নিজ ঘরে ব্যবহার করে থাকি। তবে সেই মশারির ঘেরাটোপে আলু বীজের উৎপাদন কি সম্ভব? হ্যাঁ, তা সম্ভব করে দেখালেন, জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের মিলনপল্লী এলাকার সুজিত দাস। গত ২২ জানুয়ারি কৃষি দপ্তর থেকে রাজ্যে তিনি সেরা আলু বীজ উৎপাদক হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।
শুধু জলপাইগুড়ি জেলায় নয়, রাজ্যে এই প্রথম নেটের ঘেরাটোপে আলু বীজ উৎপাদন করা হল। অভিনব কৌশলে জলপাইগুড়ি জেলার কৃষি আধিকারিক মেহফুজ আহমেদ বলেন, “কুফরি জ্যোতি প্রজাতি আলু বীজের ঘাটতি রয়েছে এ রাজ্যে। এই কারণে আলু বীজ উৎপাদনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় আলু গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করে পরামর্শ প্রদান করছেন।” মূলত কুফরি জ্যোতি প্রজাতি আলু বীজের ঘাটতি মেটাতে এই উদ্যোগ। গজলডোবা, টাকিমারি ও শিলিগুড়ির খরিবাড়িতে এই বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে।

কিন্তু মশারির ঘেরাটোপে কেন এই উৎপাদন? কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, ভাইরাস-মুক্ত বীজ উৎপাদনের জন্য এই ধরণের সতর্কতা। নতুন পদ্ধতিতে কিভাবে আলু চাষ করা যায়, সেই বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি দপ্তরের সূত্রানুযায়ী, ফার্মার্স ক্লাবের সহায়তায় বীজ উৎপাদনের এই কর্ম চলছে। গজলডোবা সবুজ ফার্মার্স ক্লাব, টাকিমারি ফার্মার্স ক্লাব ও খরিবাড়ির ময়নাগুড়ি ফার্মার্স ক্লাব সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। কুফরি সুন্দরি প্রজাতির আলু বীজ এখানে উৎপাদন হচ্ছে। এই জাতটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল কম জলে উৎপাদন সম্ভব হওয়ায় এতে সেচের খরচ হ্রাস পাবে। কৃষি কর্তারা জানিয়েছেন, গতবছর উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে সফলতা মেলায়, এবার পাঁচটি ফার্মার্স ক্লাবের মাধ্যমে মশারির ঘেরাটোপে ভাইরাস-মুক্ত আলু বীজ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, এবার আলুর ১২টি প্রজাতির চাষ হয়েছে।
কিন্তু মশারির ঘেরাটোপে কেন এই উৎপাদন? কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, ভাইরাস-মুক্ত বীজ উৎপাদনের জন্য এই ধরণের সতর্কতা। নতুন পদ্ধতিতে কিভাবে আলু চাষ করা যায়, সেই বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি দপ্তরের সূত্রানুযায়ী, ফার্মার্স ক্লাবের সহায়তায় বীজ উৎপাদনের এই কর্ম চলছে। গজলডোবা সবুজ ফার্মার্স ক্লাব, টাকিমারি ফার্মার্স ক্লাব ও খরিবাড়ির ময়নাগুড়ি ফার্মার্স ক্লাব সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। কুফরি সুন্দরি প্রজাতির আলু বীজ এখানে উৎপাদন হচ্ছে। এই জাতটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল কম জলে উৎপাদন সম্ভব হওয়ায় এতে সেচের খরচ হ্রাস পাবে। কৃষি কর্তারা জানিয়েছেন, গতবছর উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে সফলতা মেলায়, এবার পাঁচটি ফার্মার্স ক্লাবের মাধ্যমে মশারির ঘেরাটোপে ভাইরাস-মুক্ত আলু বীজ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, এবার আলুর ১২টি প্রজাতির চাষ হয়েছে।

রাজগঞ্জের মিলনপল্লী এলাকার সুজিতবাবুর চাষের উৎসাহ এবং আলুখেতের উন্নত ফলন দেখে খুশি হন বিশেষজ্ঞরা। এরপরই ওই চাষিকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জলপাইগুড়ির কৃষি আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের কৃষকদের প্রতি বছর ভিন রাজ্য থেকে বেশী দামে বীজ কিনতে হয়, এতে খরচ অনেক হয় চাষিদের। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বীজের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, ফলে উৎপাদন কমছে। তবে এখানে উন্নত মানের আলু বীজ উৎপাদনের ফলে এবার বেশী মূল্যে আর বীজ ক্রয় করতে হবে না কৃষকদের, সাথে উন্নতমানের ফলনও মিলবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments