কৃষিজাগরন ডেস্কঃপশ্চিমবঙ্গ তথা বর্ধমান জেলার প্রধান ফসল ধান। ধান গাছে বেশ কয়েকটি রোগ ও পোকার আক্রমন দেখা যায়। ফলে ধানের ফলন মারাত্মকভাবে মার খায়। সময়মতো ব্যবস্থা নিয়ে রোগ ও পোকা দমন করলে তবেই আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে। নিচে প্রধান কয়েকটি রোগ ও তার প্রতিকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হল।
ধানের ঝলসা রোগ ও তার প্রতিকার
ধান গাছের বিয়ান ছাড়ার এবং জোরালো বৃদ্ধির সময় অর্থাৎ চারা রোয়ার ৩০ দিন পর গাছের রোগ প্রবনতা বেশি থাকে। বীজতলাতেও রোগ লক্ষন দেখা যায়। রোগটি বীজ বাহিত। দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা ও আদ্র আবহাওায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। এই রোগটি ছড়ায় ম্যাগ্নাপরথে ওরাইজি (Magnaporthe oryzae) নামক এক প্রকার ছত্রাক।
আরও পড়ুনঃ চাষে লাভজনক কেঁচোসার তৈরীতে সাশ্রয়কারী প্রযুক্তি দেখাচ্ছে নতুন দিশা
সনাক্ত করার পদ্ধতি
ধানের পাতায় বাদামি বর্ণের মাকুর মতো লম্বাটে দাগ হয়। ঐ দাগের মধ্যভাগ ছাই রঙের এবং কিনারা বাদামি। অনেকগুলি দাগ একসঙ্গে জুড়ে গিয়ে পাতা ঝলসে যায়। এই রোগ ডাঁটা, শিষ ও দানায় হতে পারে। আক্রান্ত শিষে কালো দাগ ধরা অনেক অপুষ্ট দানা এবং চিটা দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশকের পরিচিতি
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাঃ
-
বীজ শোধন করে বীজ বপন করা উচিত। এজন্য প্রতি কেজি বীজের সঙ্গে ১ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম ৫০% ডব্লিউ. পি (ব্যাভিস্টিন) বা ২.৫ গ্রাম ম্যানকোজেব ৭৫% ডব্লিউ. পি (ডাইথেন-এম ৪৫) মিশিয়ে বীজকে শোধন করে বপন করতে হবে।
-
নাইট্রোজেন সার, চাপান হিসাবে ধাপে ধাপে প্রয়োগ করতে হবে।
-
গড়ে ৫ শতাংশ পাতা আক্রান্ত হলে প্রতিকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নিচের একটি ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে-
-
ট্রাইসাইক্লোজল ৭৫% ডব্লিউ. পি (বিম, টুপার)- ০.৫ গ্রাম
-
ট্রায়েমফস ৪৮% ই. সি. (কিটাজিন)- ১.০ মিলি
-
কাসুগামাইসিন ৩% এস. এল. (কাসু-বি)- ১.০ মিলি
-
আইসো-প্রোথিওলেন ৪০% ই. সি. (ফুজি - ওয়ান)- ১.০ মিলি
Share your comments