পশ্চিমবঙ্গের কৃষি পরিচালক ড. প্রশান্ত কুমার মাইতির পরিচালনায়, হুগলীর ধান্য গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল একটি অনুষ্ঠানের, যেখানে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধান চাষ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কৃষকদের অবগত করা হল। এই যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষি ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রভূত সহায়তা হবে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এই যন্ত্রের সাহায্যে ধান বপন করার কাজ অনেক দ্রুত হবে। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন যন্ত্রের দ্বারা প্রতি বর্গকিমি. তে কম, মাঝারি, বেশী এবং অতিরিক্ত বেশী হারে বীজ ফেলা হয়েছে। কোন ঘনত্বে বীজ ফেলা হলে তা চাষীর জন্য উপযোগী হবে, মূলত তা নির্ণয় করে দেখার জন্যই তাদের এই প্রচেষ্টা।
উন্নতমানের বীজের প্রয়োজন - বিভিন্ন ধান গবেষণা কেন্দ্র, যেমন- চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্র, বর্ধমান ফার্ম প্রভৃতি জায়গা থেকে এবং বাজার থেকেও কৃষকেরা বীজ নিতে পারেন, তবে তা যেন উন্নত মানের হয়।
বীজতলা তৈরির পদ্ধতি - বীজতলা তৈরি করতে হলে, বীজ রোয়ার ২০-২৫ দিন আগে বীজ বপন করতে হবে। বীজতলা আগস্ট-এর প্রথমে তৈরি করতে হবে। ধানের সর্বোচ্চ ফলনের জন্য আগস্ট-এর মাঝামাঝি বা সর্বোচ্চ ২০ তারিখ পর্যন্ত ধান রোয়া করা যাবে। এরপর বীজতলা তৈরি করলে ধানের ফলন কমে যাবে।


ড. প্রশান্ত কুমার মাইতি জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী সকল ধরণের বীজ দিয়েই কৃষকেরা চাষ করতে পারেন। যেমন – বন্দনা, পুষ্প ইত্যাদি ধানের বীজ বপন করলে তা এই মরশুমে ভালো ফলন দেবে। তবে, স্বল্পমেয়াদি ধান চাষ করলে তা ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে পেকে যাবে। আর বৃষ্টির এই মরশুম ধান চাষের জন্য উপযুক্ত। তাই কম সময়ে উন্নত মানের ফলনের জন্য রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন যন্ত্রের সাহায্য নিতে পারেন কৃষকেরা।
অনুবাদ – স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments