এই ৩টি পদ্ধতি ব্যবহার করে আদা বপন করুন, কম সময়ে চমৎকার উৎপাদন পাবেন

ভারতে আদা চাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে , যা মশলা এবং ওষুধ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আদার চাহিদা কেবল দেশীয় বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও থাকে, যার কারণে কৃষকরা এর উৎপাদন থেকে ভালো আয় করতে পারেন। আদা চাষের অনেক সুবিধা আছে, তবে ভালো ফলন পেতে সঠিক বপন এবং যত্ন প্রয়োজন।

KJ Staff
KJ Staff

ভারতে আদা চাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে , যা মশলা এবং ওষুধ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আদার চাহিদা কেবল দেশীয় বাজারেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও থাকে, যার কারণে কৃষকরা এর উৎপাদন থেকে ভালো আয় করতে পারেন। আদা চাষের অনেক সুবিধা আছে, তবে ভালো ফলন পেতে সঠিক বপন এবং যত্ন প্রয়োজন।

কৃষি জাগরণের এই প্রবন্ধে আদা বপনের ৩টি প্রধান পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের জানা যাক!

আদার জন্য উপযুক্ত জলবায়ু এবং মাটি

আদা চাষের জন্য আদর্শ জলবায়ু উষ্ণ এবং আর্দ্র। এটি ২০-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালোভাবে জন্মানো যায়। এছাড়াও, আর্দ্রতা ৭০-৯০ শতাংশের মধ্যে থাকা উচিত যাতে গাছটি বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পায়। বেলে দোআঁশ মাটি আদা চাষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করা হয়, তবে এটি বেলে লাল এবং এঁটেল মাটিতেও ভালো জন্মে। তবে, একই জমিতে একটানা আদা চাষ করা উচিত নয়, কারণ এটি ফলনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

আদা বপনের প্রধান পদ্ধতি

ভারতে, আদা মূলত তিনটি প্রধান পদ্ধতিতে বপন করা হয়...

১. বিছানা পদ্ধতি

বিছানা পদ্ধতিতে, ১.২০ মিটার প্রস্থ এবং ৩ মিটার লম্বা একটি বিছানা তৈরি করা হয়। এই বিছানাটি মাটি থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু। বেডের চারপাশে ৫০ সেমি প্রশস্ত একটি ড্রেন তৈরি করা হয়েছে যাতে পানি সঠিকভাবে বেরিয়ে যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে, গাছগুলির মধ্যে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন এবং বীজগুলি 10 সেন্টিমিটার গভীরতায় রোপণ করা হয়। এই পদ্ধতির বিশেষ সুবিধা হল এটি ড্রিপ সেচের জন্য খুবই উপযুক্ত, যা জল সাশ্রয় করে এবং গাছের বৃদ্ধি উন্নত করে।

২. রিজ পদ্ধতি

রিজ পদ্ধতিতে, ৬০ সেমি দূরত্বে ছোট ছোট গর্ত তৈরি করা হয়, যেখানে সার দেওয়া হয়। এর পরে, আদার বীজ ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বপন করা হয় এবং তারপর মাটি দিয়ে ঢেকে খাঁজ তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতিতে, মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বীজের গভীরতা 10 সেন্টিমিটার হওয়া উচিত, যাতে অঙ্কুরোদগম সঠিকভাবে হয় এবং গাছের বৃদ্ধি ভালো থাকে। এই পদ্ধতিটি বেশিরভাগ কৃষকরা ব্যবহার করেন যারা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সার ব্যবহার করেন।

৩. সমতলকরণ পদ্ধতি 

সমতল পদ্ধতিতে, হালকা এবং ঢালু জমি নির্বাচন করা হয়, যেখানে ঢালের মধ্যে দূরত্ব 30 সেমি এবং গাছপালার মধ্যে দূরত্ব 20 সেমি রাখা হয়। বীজ ১০ সেন্টিমিটার গভীরতায় বপন করা হয়। এই পদ্ধতিতে বেশি সেচের প্রয়োজন হয়, তবে যদি সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকে তবে এই পদ্ধতিটিও সফল।

Published On: 25 April 2025, 04:48 PM English Summary: Sow ginger using these 3 methods, get excellent yields in less time

Like this article?

Hey! I am KJ Staff . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters