সময়ের সাথে সাথে চাষাবাদের পদ্ধতিতেও অনেক পরিবর্তন আসছে। অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য অনেকেই তাদের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ ছেড়ে আধুনিক চাষাবাদ গ্রহণ করছেন । অন্যদিকে, কেউ কেউ তাদের চাষের মাটির পুরো সুবিধা নিচ্ছেন।
আপনারা সবাই জানেন, কৃষক ভাইয়েরা তাদের ক্ষেত থেকে গম ও মটর ফসল তুলে নিয়ে এখন তাদের ক্ষেত খালি রাখতে তাতে সয়াবিন বপন শুরু করেছেন।
আমরা আপনাকে বলি যে ফুল ইতিমধ্যে গাভাদির আশেপাশের এলাকায় সয়াবিন বপন শুরু করেছে এবং গাছপালাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে কৃষক ভাইরা জানান , বর্ষায় বপন করা সয়াবিন ফসলে নানা রোগের আশঙ্কা রয়েছে । যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ফসল উৎপাদনে। অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে এই ফসল বপন করলে তাতে রোগ-বালাই কম হয় এবং ফসলও প্রায় ১৫ দিনে পেকে যায়। এ কারণে কৃষকরা তাদের ক্ষেত খালি রেখে বাঁচাতে তাতে সয়াবিন চাষ শুরু করেন। এ সময় এ চাষে খরচও অনেক কম এবং বাজারে এর দামও ভালো।
গ্রীষ্মের মাসগুলিতে সয়াবিন চাষ
গ্রীষ্মের মৌসুমে বপন করা সয়াবিন শস্য ভাইরাসজনিত হলুদ মোজাইক রোগের ঝুঁকিতে থাকে এবং চোষা পোকার প্রাদুর্ভাবও দেখা যায়। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, কৃষককে তার জমিতে সময়ে সময়ে সেচ এবং ওষুধ স্প্রে করতে হবে। তবে গ্রীষ্মকালে সয়াবিন চাষের দিকে কৃষকদের ঝোঁক বাড়ছে।
খামার থেকে ডাবল লাভ
গ্রীষ্মের মৌসুমে সয়াবিন চাষ শুরু করার একটি প্রধান সুবিধা হল এই ফসলটি বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই ভালভাবে প্রস্তুত হয়। এমন সময়ে সয়াবিন ফসল তোলার পর গম, ছোলাসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের কোনো সমস্যা হয় না। এতে কৃষকরা তাদের ক্ষেত থেকে দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন।
Share your comments