শ্রেষ্টা ন্যাচারাল বায়োপ্রডাক্টের হাত ধরে দেশের প্রায় ৪৫,০০০ চাষি অর্গানিক ফার্মিং-এর সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ শুরু করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, জম্মু, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মতন ১৫ টি রাজ্য জুড়ে প্রায় ২ লক্ষ একর জমিকে অর্গানিক ফার্মে পরিণত করেছে। '২৪ মন্ত্র' এই ব্র্যান্ডনেমে ২০০ র বেশি প্রডাক্ট ১০,০০০ স্টোরে বিক্রি হয়েছে, তার সাথে সাথে ৫০টি দেশে রফতানিও করা হয়েছে।
যেইসব চাষিরা এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের দাবি তারা এখন ৩০% বেশি উপার্জন করছেন। এছাড়াও সুস্থায়ী কৃষিব্যবস্থার এই প্রয়াস, মাটির উর্বরতাকে বৃদ্ধি করেছে, মাটির জল ধারণ ক্ষমতা বাড়িয়েছে, এর ফলে ভালো ফসল উৎপাদনেও সুবিধা হচ্ছে।
সুস্থায়ী কৃষি ব্যবস্থা আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ুর জন্য আদর্শ এক পদ্ধতি। সুস্থায়ী চাষবাসের ফলে ছোট এবং প্রান্তিক চাষিদের জীবন যাপনেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থায়ী কৃষিব্যবস্থায় যেই ফসল উৎপাদন হয়, তা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, এবং তাতে এমন কোনো কিছু থাকে না, যা মানুষের ক্ষতি করতে পারে। সুস্থায়ী চাষাবাদে কোনোরকমের কীটনাশক অথবা সিনথেটিক সার ব্যবহৃত হয় না বলে এই কৃষির উৎপন্ন ফসল স্বাস্থ্যের পক্ষে ভীষণই উপকারী।
শ্রেষ্টা ন্যাচরাল বায়োপ্রডাক্ট দেশের প্রান্তিক সমাজের জন্য নিজেদের সেরা অবদানটা রাখছে। বিশেষত মধ্যপ্রদেশের বালাঘাট জেলার দরিদ্র এবং আদিবাসী সমাজের মানুষদের নিয়ে এই সংস্থার উদ্যোগ চোখে পড়ার মতন। এদের হাত ধরেই ৩০০০ মহিলা রাসায়নিক ব্যবহার করে ফসল ফলানো থামিয়ে ধান এবং সবজি উৎপাদনে অর্গানিক পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:Dry paddy field: বর্ষাতেও ধানের জমি শুকনো, ঘাটালের চাষীদের মাথায় হাত
বহু দেশ বর্তমানে সুস্থায়ী কৃষি ব্যবস্থার প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। সুস্থায়ী কৃষি ব্যবস্থাই বর্তমান ও ভবিষ্যতের কৃষি ব্যবস্থাকে ধরে রাখতে পারে। উন্নত দেশগুলির পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও তাই সুস্থায়ী কৃষিব্যবস্থার জয়জয়কার শুরু হয়ে গেছে। মানব সভ্যতার বিকাশে সুস্থায়ী কৃষি পদ্ধতিই যে একমাত্র বিস্তৃত ও উন্নত পথ, এ কথা আজ নাকচ করার কোনও জায়গায় নেই।
আরও পড়ুন:Avocado Farming Procedure: অ্যাভোকাডো চাষ করে হয়ে উঠুন সম্পদশালী কৃষক
Share your comments