
বিভিন্ন রাজ্যে চলছে এখন গমের চাষ। রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং গুজরাট এই তিন রাজ্যে ফসল পরিপক্ক হয়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকার ২ এপ্রিল থেকে গম সংগ্রহ শুরু করবে বলে জানা গেছে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে যথাক্রমে ১৫-২০ এপ্রিল থেকে সংগ্রহ শুরু করা হবে।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়েছে। এর প্রভাবে সাময়িক বিলম্ব হলেও গম সংগ্রহে তৎপর সরকার। ভারতের ফুড কর্পোরেশন বা এফসিআই এই বছর ৩৫ মিলিয়ন টন গম ক্রয়ের বিষয়ে আশাবাদী। সরকারী অনুমান অনুসারে, ২০১৯-২০২০ বর্ষের (জুলাই- জুন) জন্য গমের উৎপাদন ধরা হয়েছে ১০৬.২১ মিলিয়ন টন, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২.৫ শতাংশ বেশি।

গুজরাট এবং মধ্য প্রদেশে ফসল শীঘ্রই উপস্থিত হয়। সাধারণত সেই কারণে, রবি শস্য বিপণনের মরসুম শুরু হওয়ার পরে এপ্রিলের কিছুদিন আগে থেকেই সরকারী সংগ্রহ শুরু হয়। এই বছরও, এই দুটি রাজ্যে ২২ শে মার্চ থেকে ক্রয় শুরু করার পরিকল্পনা ছিল। তবে লকডাউন ঘোষণার পরে তা স্থগিত করা হয়।
মধ্য প্রদেশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, স্থানীয় এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে কৃষকরা শস্যের মাণ্ডিতে আসছেন না। এই লকডাউনের পরে কৃষকরা ফসল সংগ্রহ শুরু করতে পারেন এবং তা মান্ডি ও ক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেন।
ভোপাল থেকে এক রাজ্য সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, "যদিও আমরা সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত আছি, তবে সবকিছুই নির্ভর করে কৃষকরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তার উপর। তারা সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউন বিষয়ে সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করছেন"।
ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (আইসিএআর) ফসল সংগ্রহের বিষয়ে একটি পরামর্শ প্রকাশের পর রাজ্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছে পৌঁছে গেছেন। আইসিএআর'র ডিজি, ডাঃ ত্রিলোচন মহাপাত্র বলেন যে, "গম, বাজরা, ডাল, তেলবীজ এবং অন্যান্য ফসলের মতো রবি খাদ্যশস্যের ফসল সংগ্রহের সময়ে এই রোগ সংকট দেখা দিয়েছে। ফল, শাকসবজি, শস্য, দুধ, ডিম ও মাছ সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত থাকায় আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ”। তবে রাজ্য পূর্বে যে ১ লা এপ্রিল থেকে সরকারী ক্রয় শুরু হবে ঘোষণা করলেও লকডাউনের পরে ১৫ ই এপ্রিল থেকে সংগ্রহ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments