কৃষিজাগরন ডেস্কঃ চাষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হল সার । সঠিক পরিমানে সঠিক সার প্রয়োগ না করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় না । চাষ থেকে ভালো ফলন পেতে কৃষক ভাইদের উচিত তাদের ফসলে দেশি সার অর্থাৎ জৈবভাবে তৈরি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করা । বিশেষজ্ঞদের মতে,কৃষকদের শুধুমাত্র ফসলের জন্য গোবর সার এবং কেঁচো সার ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় এসব সার মাটির উর্বরতার জন্য সঠিক নয়।
এই পর্বে, বিহারে বসবাসকারী মহিলারা তাদের ফসল থেকে ভাল উৎপাদন পেতে এবং একই সাথে মাটির উর্বর ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য একটি অনন্য উপায় অবলম্বন করেছেন।আসলে,বিহারের মহিলারা এক অনন্য পদ্ধতির মাধ্যমে আশ্চর্যজনক কম্পোস্ট তৈরি করেছেন । যা ব্যবহার করে তারা বহুগুণ সুবিধা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ বীজ ছাড়াই বেড়ে ওঠে এই ঔষধি গাছ, কম খরচে দেবে কোটি টাকার লাভ
তথ্য অনুসারে,বিহারের পশ্চিম পঞ্চরণে অবস্থিত বাগাহা মহকুমার ঠকরাহা ব্লকে মহিলারা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিশেষ বিষয় হল মহিলারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে কম্পোস্ট তৈরি করেছেন। তাঁরা একটি পাত্রে এই কম্পোস্ট তৈরি করছেন ।এখানকার মহিলারা জানান,বাজারে পাওয়া সারে অনেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয় ,যা মাটির অনেক ক্ষতি করে এবং একই সঙ্গে এইসব সারের দাম খুব বেশি, যা একজন দরিদ্র কৃষকের পক্ষে কেনা অনেক সময় সম্ভব হয় না।
সার তৈরির পদ্ধতি
একটি পাত্রে সার তৈরি করতে প্রথমে ১০ লিটার জলে সাত গ্রাম ছাতু , ৭ গ্রাম গুড় , ২ কেজি গোবর , আধ লিটার গোমূত্র ,৫০ গ্রাম ডিমের খোসা মেশাতে হবে ।এরপর ভালো করে মেশানোর পর একটি সুতির কাপড় দিয়ে পাত্রের মুখ ঢেকে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কলার প্রধান রোগ ও তাদের ব্যবস্থাপনা
মনে রাখবেন এখন এই পাত্রটিকে ২১ দিন এভাবে রাখতে হবে। এর পরে, আপনি যখন এই পাত্রটি খুলবেন, আপনি একটি ভাল কম্পোস্ট পাবেন। আপনি একটি পাত্রে প্রায় ১০লিটার কম্পোস্ট তৈরি করতে পারেন।
এই কম্পোস্টে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ,পাত্রে তৈরি কম্পোস্টে ১০ শতাংশ নাইট্রোজেন ,৭ শতাংশ ফসফরাস ,৮ শতাংশ পটাশ,জিঙ্ক ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।এই সার জমিতে ছিটিয়ে দিতে হলে এতে প্রায় ১০ লিটার জল মেশাতে হবে। যাতে এর সমস্ত উপাদান গাছে মিশে যায় এবং পুরো জমিতে সঠিকভাবে স্প্রে করা যায়।
Share your comments