কৃষিজাগরন ডেস্কঃ হৈমন্তী চা উৎপাদনে ব্যাপক হ্রাস।আবহাওয়া অনুকুল না হওয়ায় চলতি বছরে হৈমন্তী চায়ের উৎপাদন তলানিতে ঠেকেছে।বৃষ্টি হলে হৈমন্তী চাষের উৎপাদন ভালো হয়।কিন্তু দুর্গাপূজোর পর থেকেই বৃষ্টির দেখা নেই।এদিকে কালীপুজোর পর থেকেই হৈমন্তী চায়ের উৎপাদন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার কালীপুজোতেও বৃষ্টি হয়নি।তাই হৈমন্তী চায়ের উৎপাদন এক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়।
অক্টোবর মাসে ২৫ শতাংশ চা উৎপাদন কম হয়েছে এবং নভেম্বর মাসে ওই উৎপাদন ৩০ শতাংশ কম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই পারদ নামতে শুরু করেছে। একটু একটু করে চা গাছের পাতায় পাতায় জমেছে শিশির। চা গাছের ডগা শক্ত হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেখান থেকে বের হচ্ছে না স্বতঃস্ফূর্তভাবে কুঁড়ি।
আরও পড়ুনঃ
ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখে পাতা তোলার শেষ দিন। তবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারনা শেষ দিনের আগেই উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। হৈমন্তী চা অতন্ত্য উৎকৃষ্ট মানের হয়ে থাকে। তাই এর দামও বাজারও ভালো পাওয়া যায়। এবার হৈমন্তী চা উৎপাদন কম হওয়ায় উত্তরবঙ্গের চা চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ি এলাকা বাদ দিলে গত সপ্তাহখানিক থেকে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৫ ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে আর দিনে সর্বাধিক তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘুরছে। অন্যান্য বছর এই সময় তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বেশি থাকে। যার প্রভাব পড়ে চা পাতা উৎপাদনে।
আরও পড়ুনঃ
চা উৎপাদনের প্রধান উপাদন হচ্ছে পরিবেশ, সঠিক বৃষ্টিপাত ও স্বাভাবিক তাপমাত্রা। বৃষ্টি এবং রোদের তাপ দুটোই চায়ের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু দুর্গাপুজোর পর থেকে আর বৃষ্টি নেই উত্তরবঙ্গে। এছাড়া তাপমাত্রার কমতে শুরু করেছে। তার প্রভাব পড়েছে হৈমন্তী চা উৎপাদনে।
Share your comments