
দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব সহ অনেক রাজ্যে খড় (ফসল সংগ্রহের পর, যে মূলদেশ মাটিতে প্রোথিত থাকে) একটি বড় সমস্যা। দেশের অনেক জায়গায় কৃষকরা খড় পুড়িয়ে দেয়, এতে পরিবেশ কলুষিত হয়। এই কারণে রাজ্যের কৃষক এবং সাধারণ মানুষও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হন। এই সমস্যার সমাধান করতে বাজারে আসতে চলেছে, প্রতাপ বায়োচর কিলান নামে একটি মেশিন।প্রকৃতপক্ষে, এই মেশিনটির উদ্ভাবন করেছেন, উদয়পুরে অবস্থিত মহারাণা প্রতাপ কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এমপিইউএটি) -এর কৃষি বিজ্ঞানীরা। এটি যে শুধু খড় পোড়ানোর সমস্যা সমাধান করবে তাই নয়, অবশিষ্টাংশকে এটি কম্পোস্টে রূপান্তরিত করার কাজটিও করবে।
মেশিনটি কীভাবে কাজ করবে - এটি এমন একটি মেশিন, যার সাহায্যে কৃষি অবশিষ্টাংশগুলি সরাসরি বায়োচারে রূপান্তরিত হবে। এতে কৃষিক্ষেত্রের অবশিষ্টাংশগুলি একটি ড্রামে প্রায় ৪৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উত্তপ্ত করা হবে। এরপর তা বায়োচারে রূপান্তরিত হবে।

মেশিনটির বৈশিষ্ট্য -
- প্রায় সাত লক্ষ টাকা মেশিনটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে।
- ১ কেজি খড় থেকে প্রায় ৩০০ গ্রাম বায়োচার উৎপন্ন হবে।
- বাজারে বায়োচারের মূল্য প্রায় ১৮০ টাকা।
- বায়োচার মাটির উন্নতির জন্য সহায়তা করে।
- এতে দূষণও কমবে। অর্থাৎ এটি পরিবেশবান্ধব।
বায়োচার ব্যবহারের উপকার -
- জমির সার শক্তি বাড়বে।
- এটি বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে।
- রাসায়নিক ব্যবহার হ্রাস পাবে।
- গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব হ্রাস করে।
- কৃষককে জ্বালানিও সরবরাহ করবে।
ভবিষ্যতে, এই প্রযুক্তিটির মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ এর সাথে সাথে কৃষি উত্পাদন বাড়বে। উল্লেখ্য বিষয়, এই আবিষ্কারটি আইআরসি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে।এটি ভারতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয়েছে। তথ্যানুযায়ী, যে সমস্ত ফসল প্রাণী খায় না তার অবশিষ্টাংশ থেকে বায়োচার তৈরি করা হবে, যেমন চিনাবাদামের খোসা, সরিষার ডাঁটা ইত্যাদি। আধুনিক প্রযুক্তিতে উৎপাদিত এই মেশিনটি কৃষকদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments