মশলার দিক থেকে গোটা বিশ্বে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে ভারতের। ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ মশলা রপ্তানি হয় বিদেশে। তবে সমস্ত মশলার থেকে এগিয়ে রয়েছে হলুদ। তার অন্যতম কারণ হল গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতে ৮০ শতাংশ হলুদ উৎপাদন হয়। করোনার কারণে হলুদের মতো কিছু কৃষিপণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে এর ব্যবহার বেড়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা বেড়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা এখনও কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে হলুদের চাষ কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি বুস্টার ডোজ হিসেবে কাজ করতে পারে। কারণ গত ৫ বছরে হলুদের রপ্তানি হচ্ছে দ্বিগুন।
আরও পড়ুনঃ খাদ্যতালিকায় ভাত আছে তো? জেনে নিন এর অতুলনীয় উপকারিতা
করোনা কালে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে হলুদের চাহিদা বেড়েছে ব্যপকভাবে। গোটা বিশ্বে ভারত থেকে হলুদের রপ্তানি বেড়েছে অনেক। অন্যান্য দেশ ভারত থেকে 1.83 লাখ টন হলুদ কিনেছে। বিনিময়ে দেশ পেয়েছে 1676.6 কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, মালয়েশিয়া, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, জার্মানি, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস, জাপান, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক এবং তিউনিসিয়া ভারতীয় হলুদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ভারতে যে সমস্ত রাজ্যে হলুদের চাষ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয় সেগুলি হল তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, মেঘালয় এবং মহারাষ্ট্রে। যেখানে তেলেঙ্গানার নিজামবাদ জেলায় হলুদের সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়।
আরও পড়ুনঃ বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন, আয় হবে বেশি! কৃষকদের ছোলা চাষের জন্য রইল টিপস
তবে হলুদের রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারের কাছে কৃষকদের কিছু দাবি রয়েছে। প্রথমত, ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের (এমএসপি) আওতায় আনা, আর দ্বিতীয়ত হলুদ বোর্ড তৈরি করা। কৃষকরা বলছেন, এটি করার পর যারা চাষ করছেন তারা ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত গত ৫ বছর ধরে হলুদের রপ্তানির ক্ষেত্রে কৃষকরা লাভের মুখ দেখছে অনেক। 2020-21 সালে চেন্নাইয়ের সালেম মার্কেটে এর গড় পাইকারি হার ছিল 11,653 টাকা প্রতি কুইন্টাল। আর বর্তমানে কৃষকরা প্রতি কুইন্টাল 15,000 টাকা এমএসপি চায়।
Share your comments