কৃষিজাগরন ডেস্কঃ পুদিনা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ যা সকলের পরিচিত।খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি পুদিনা পাতার রয়েছে একাধিক ভেষজ গুণ।বানিজ্যিক দিক থেকেও পুদিনার গুরুত্ব অপরিসিম। পুদিনা প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধী গাছ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
প্রায় ৬৫০ জাতের পুদিনা পাওয়া যায় যাদের অধিকাংশই প্যারিনিয়েল এবং কতিপয় একবর্ষজীবি। বিশ্বব্যাপি পিপারমিন্ট, স্পিয়ারমিন্ট ও আর্বেনেসিস জাতের পুদিনা বেশি দেখা যায়।
আমরা কৃষিজাগরনে নিয়মিত কৃষকদের সাথে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এর ফলে কৃষকরা কৃষি জমি, শিক্ষা, অর্থনীতি এসব বিষয়ে নানা রকম জ্ঞান লাভ করে থাকেন।আজ আমরা কথা বলব পুদিনা চাষের পদ্ধতি নিয়ে।আসুন জেনে নেই পুদিনা চাষ পদ্ধতি।
আরও পড়ুনঃ নারকেল বাগানে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়, এভাবে নিয়ন্ত্রণ করলে উপকার পাবেন
বিভিন্ন ধরণের আবহাওয়ায় সহনশীলতা রয়েছে পুদিনার। সাধারণত আর্দ্র আবহাওয়া ও আর্দ্র মাটিতে পুদিনা ভাল জন্মায়। হালকা শেডের নীচে ভাল হলেও পূর্ণ রোদ্রেও জন্মাতে পারে। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বোণা বা লাগানো হয় এবং মার্চে সংগ্রহ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আমলকি চাষ করবেন? শিখে নিন সহজ পদ্ধতি,লাভ হবে প্রচুর
যদি আপনি পুদিনা টবে চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে টবের মাটির সঙ্গে কিছু জৈব সার অথবা গোবর ভালভাবে মিশিয়ে তাতে জল দিয়ে ৬/৭ দিন রেখে দিতে হবে। মাটি কিছুটা শুকিয়ে এলে ঝুরঝুরা করে তাতে পুদিনা পাতার কাটিং লাগিয়ে দিতে হবে । পুদিনা গাছের তেমন কোন যত্নের দরকার হয় না, শুধু প্রয়োজন অনুসারে মাঝে মাঝে জল দিতে হবে। এই গাছের একটি পুরানো ডাল শিকড়-সহ কেটে টবে রোপন করলেই কিছুদিনের মধ্যে ওই পাত্র পুদিনা পাতার গাছে ভরে যায়।
গাছ লম্বা হতে শুরু করলে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা কাটিং বা ডাল কেটে ১০ থেকে ১৫টি শাখা একটি আঁটিতে বেঁধে বাজারে বিক্রি করার জন্য পাঠানো হবে। প্রতি ২ বার ফসল তোলার পর এক কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রতি মাসে সার দিয়ে ফসল তুলতে হবে। সারা বছর পুদিনা চাষ করে ফসল তোলা যাবে।
Share your comments