কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ পেঁয়াজ ফসলে বিস্তৃত পাতার আগাছার সমস্যা রয়েছে, যার কারণে এর ফলন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। আগাছার আধিক্যের কারণে পেঁয়াজ ফসলে নানা ধরনের রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।আপনি যদি পেঁয়াজ চাষ করেন এবং আগাছার আধিক্যের কারণে বিরক্ত হন, তবে আমরা আপনাকে এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি।
ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি
-
পেঁয়াজ বপনের 25 থেকে 30 দিন পরে, ফসলের প্রথম আগাছা এবং 60 থেকে 65 দিন পরে, ফসলে দ্বিতীয় নিড়ানি করুন।
-
বপনের 3 দিনের মধ্যে 700 মিলি পেন্ডিমেথালিন 200 লিটার জলে একর প্রতি স্প্রে করুন। এর ব্যবহারে বিস্তৃত পাতা এবং সরু পাতার আগাছা মাঠে বের হওয়ার আগেই ধ্বংস হয়ে যায়।
-
বপনের 10 থেকে 15 দিন পর আগাছার সমস্যা দেখা দিলে একর প্রতি 200 লিটার পানিতে 50 গ্রাম অক্সাডিয়ার্গিল 80% ডব্লিউপি নামক আগাছা নাশক মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ এই ফুলের তেল বিক্রি হয় প্রতি লিটার ৫ লাখ টাকায়
মনে রাখবেন
যতদূর সম্ভব ক্ষতিকারক রাসায়নিকযুক্ত আগাছা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এ জন্য আগাছা দমন করা যেতে পারে হাতে বা কুড়াল, কোদাল ইত্যাদি কৃষি যন্ত্রপাতির সাহায্যে।
আগাছা নাশক ব্যবহার করার সময় জমিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকতে হবে। স্প্রে করার সময় আবহাওয়ার বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। প্রবল সূর্যালোক এবং মেঘলা আবহাওয়া থাকলে আগাছা ঘাতক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুনঃ কলার প্রধান রোগ ও তাদের ব্যবস্থাপনা
শিশু এবং পশুদের থেকে দূরে শীতল ও শুষ্ক জায়গায় আগাছা নিধনকারীদের রাখুন। এই ওষুধগুলি ব্যবহার করার সময় আপনার নিরাপত্তার জন্য গ্লাভস, চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করুন।
স্প্রে করার সময় কাপড় দিয়ে মুখ ভালো করে ঢেকে রাখুন এবং ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
Share your comments