বন্য চাল সরাসরি এশিয় প্রজাতির চালের (Oryza Sativa) সাথে সম্পর্কিত নয়, তবে এদের প্রাচীন প্রজাতি হল Oryza Rufipogan ও Oryza Nivara, যদিও এই দুই প্রজাতিরই ধরন ও স্বাদ প্রায় একই, ও এরা Oryzeae গোষ্ঠিভুক্ত, বন্য প্রজাতির ধান এর বাইরের আবরণটি বেশ কঠিন হলেও ভেতরের সস্য অংশটি বেশ কোমল প্রকৃতির হয়, এই চালের স্বাদ ও অনেকটা শাকসবজির মতো।
এই বুনো ধান প্রধানত অগভীর জলে উৎপন্ন হয়, ছোট হ্রদ ও ধীর গতি সম্পন্ন নদীতে এদের উৎপাদন অনেক বেশি। এই জাতীয় ধানের সমগ্র অংশটাই প্রায় জলের নীচে থাকে শুধুমাত্র এই ফুলযুক্ত আগাটি জলের উপড়ে থাকে। এই ধানের সস্য dabbling Duck ও অন্যান্য জলজ প্রাণীদের প্রিয় খাদ্য, মানুষ খাদ্য হিসেবে এই ধানের ব্যবহার শুরু করে অনেক পরে। সারা পৃথিবীতে Northern wild rice, wild rice, Texas wild rice, Manchurian wild rice-এই চার প্রজাতির বুনো ধান উৎপন্ন হয়। এদের মধ্যে Texas wild rice প্রায় বিলুপ্ত প্রজাতির মধ্যে পরে, কারণ উপযুক্ত পরিবেশের অভাব ও দূষণ। Manchurian wild rice জাতটি কার্যত অদৃশ্য হয়ে গেছে, তবে সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে এই প্রজাতিটির খোঁজ মিলেছে এবং এটি বহিরাগত প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে আমেরিকা ও কানাডার কিছু অংশে এই বুনো চালের খাদ্যহিসেবে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিলো, ১৯৫০ সালে আমেরিকার গবেষক জেমস ও জেরাল্ড গডওয়ার্ড বুনো চালের পরীক্ষা করে জানান আবদ্ধভাবে এই চালের উৎপাদন সম্ভব নয়, এই চাল প্রধানত হাল্কা স্রোতস্বিনী জলভাগে খুব ভালোভাবে উৎপাদিত হয় এবং এটিই সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম উৎপাদিত স্বাভাবিক ধান্য।
-প্রদীপ পাল
Share your comments