চন্দন কাঠের চাষ বেশ লাভজনক, কারন চন্দন কাঠ আমাদের দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এর চাহিদা ভালোই রয়েছে। চন্দন গাছের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চন্দন কাঠের চাষে আপনাকে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে, তার থেকে বহুগুণ বেশি অর্থ আপনি উপার্জন করতে পারবেন।
দেশের কৃষকদের আর্থিক উন্নতির একটাই উপায় আর তা হল স্বল্প ব্যয়ে আরও বেশি মুনাফা অর্জন। প্রতিটি কৃষকের লক্ষ্য কৃষি কাজ করে নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। দেশের বেশিরভাগ কৃষক এখনও ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজের সাথে যুক্ত।
কিন্তু এখন বেশির ভাগ কৃষক প্রথাগত চাষ থেকে সরে এসে লাভজনক চাষের দিকে ঝুকছে। দেশে প্রতিনিয়ত চাষবাস নিয়ে নতুন নতুন গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা । এর ফলে কৃষকরা মূল ফসলের সাথে সাথী ফসল চাষ করছেন অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য।
আরও পড়ুনঃ চিচিঙ্গা চাষে এই বিষয়গুলি অবশ্য়ই মাথায় রাখবেন
তেমনই এক গাছের নাম শ্বেত চন্দন (White sandalwood) । কম সেচ, কম পরিচর্যা ছাড়াও বাঁচতে পারে এই গাছ। তাই খরা প্রবণ এলাকাতেও শ্বেত চন্দনের চাষ হতে পারে। যেহেতু শ্বেত চন্দনের ঔষধি গুণ অনেক তাই এই কাঠের দামও অনেক বেশি। বর্তমানে এই কাঠ প্রায় ১৫ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হয়।
চন্দন গাছ চাষ করে প্রায় ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় কার সম্ভব । অর্থাৎ এটি বেশ লাভজনক। তবে এর জন্য আপনাকে কমপক্ষে ১৫-২০ বছর দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে।
চন্দন গাছ বড় হতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে। অন্যান্য গাছের তুলনায় চন্দন গাছ বেশ ব্যয়বহুল। তবে অনেকগুলি গাছ একসঙ্গে কিনলে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় কেনা যাবে ।
আরও পড়ুনঃ সাদা চন্দন এবং লাল চন্দন: ব্যবহার, উপকারিতা এবং আরও অনেক কিছু
গড়ে চন্দন গাছ থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি কাঠ পাওয়া যায়। চন্দন কাঠের দাম বর্তমান বাজারে ১৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি ৷ তবে ২০ বছর পর আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মাটির ভিতর শিকড় থেকে যে পরিমান কাঠ পাওয়া যাবে তা থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ আয় করা সম্ভব ।
Share your comments