উত্তর দিনাজপুর জেলাতে যাতে গমের চাষ বাড়ানো যায় এই লক্ষ্যে জিরো টিলেজ এর উপরে জোর দেয়া হচ্ছে এবং কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে উন্নত প্রজাতির গমের চাষ হচ্ছে এবং যদি কেউ উন্নত প্রজাতির বীজ নিতে ইচ্ছুক তারা উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র যোগাযোগ করতে পারেন।
জিরো টিলেজ বা বিনা কর্ষণ পদ্ধতিটি কি?
জিরো টিলেজ বা শূন্য কর্ষন একটি সরল ও আধুনিক পদ্ধতি এর সাহায্যে কম সময়ে কম খরচে চাষ না করে বীজ বোনা যায়। এর জন্য আলাদা করে জমি তৈরি করার প্রয়োজন হয় না। এই যন্ত্রের সাহায্যে বীজ এবং সার একসাথে পড়ে, সাথে নয়টি বা ছয়টি শারিতে বীজ বোনা যায়।
এই পদ্ধতিতে গমের চাষ করব কেন?
আমন ধান কাটার পর জমি ভেজা থাকে এবং জমিতে রস বেশি থাকার জন্য গম চাষের জন্য জমি তৈরি করতে দেরি হয় এর ফলে আমাদের সঠিক সময়ে গম বোনা যায় না।
গম বোনার সঠিক সময়:-
নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।ডিসেম্বরের ২৫ তারিখের পর থেকে গম বুনলে হেক্টর প্রতি ফলন প্রতিদিন এক শতাংশ করে কমে যায়।
জমি তৈরি:-
এই পদ্ধতিতে চাষ করতে গেলে জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে এর জন্য বীজ বোনার ৭ থেকে ১০ দিন আগে অনির্বাচিত আগাছা নাশক স্প্রে করতে হবে।
গমের কিছু উন্নত প্রজাতি;-
- DBW-252
- DBW-187
- HD-2967
বীজের হার-
এই পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৯০ থেকে ১০০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
বিনা কর্ষণ (Zero tillage) পদ্ধতিতে গম চাষের সুবিধা গুলি হল
১.এই পদ্ধতির সুবিধা হল এর জন্য মাটি তৈরি করার প্রয়োজন হয় না।
২. প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় ৭ থেকে ১০ দিন আগে বীজ বোনা যায়।
৩. বীজ সারিতে বোনায় যায় এবং বীজের পরিমাণ কম লাগে।
৪. এই পদ্ধতিতে সার এবং বীজ একসাথে মাটিতে পড়ে এবং এতে সারের পরিমাণ কম লাগে।
৫. মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ভূমিক্ষয় রোধ করে।
৬. এই পদ্ধতিতে অল্প সময়ে অধিক জমিতে বীজ বোনা যায়(এক বিঘা জমিতে ২০ মিনিট সময় লাগে)
৭. প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় ফলন বেশি পাওয়া যায়।
৮. এই পদ্ধতিতে চাষের খরচ কম এবং লাভ বেশী।
বিস্তারিতভাবে জানার জন্য উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র চোপড়া তে যোগাযোগ করতে পারেন
Author-ডঃ দেবাশীষ মাহাত (উত্তর দিনাজপুর কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের শস্য বিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানী)
Share your comments