
‘ধোয়া তুলসীপাতা’ বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। গাছ-গাছালীর রাণী এই তুলসীর গুণাগুণ অনেক। “Lamiacea” গোত্রের এই গাছটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতে উৎপন্ন হয়ে আসছে। তুলসীর তেল-এ থাকে সত্তর শতাংশ ইউগোনোল। তুলসীর মতো ঔষধি গাছ চাষ করার লাভ অনেক। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকেরা ঔষধি গাছ চাষ করার পরিকল্পনা করেছেন, এবং তার থেকে লাভ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। দুটি ফসল চাষের মাঝের সময়টিতে এই ধরণের চাষ খুবই লাভদায়ক হতে পারে।

এপ্রিল-মে মাসে তুলসী গাছ বপন করতে হয়। এক হেক্টর জমির জন্য ১০ কেজি বীজ লাগে। তুলসী গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই বেশী ফলে রোগ ও পোকা নিয়ন্ত্রণ করার খরচা প্রায় নেই বললেই চলে। সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনাল এন্ড অ্যারোমেটিক প্ল্যান্ট লক্ষ্ণৌ এর বিজ্ঞাণীদের গবেষণায় এক নতুন ধরণের তুলসী গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রুলোপ-১৪ কিসান তুলসীর নতুন একটি ভ্যারাইটি তারা বার করেছেন। ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রতি হেক্টরে খরচা করে এই তুলসীর চাষ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।
- তন্ময় কর্মকার
Share your comments