কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারের তরফ থেকে কৃষকদের পশুখাদ্য উৎপাদনের উপর ভর্তুকি সবসময়ের জন্যই দেওয়া হচ্ছে। এই সময়ই ঝাড়খণ্ডের সরকার একটি খুব বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে ঝাড়খণ্ড সরকার তাদের রাজ্যে কৃষক যাতে প্রচুর পরিমাণে পশুখাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে পারে তাঁর জন্য তাদের পশুখাদ্য উৎপাদনের উপর ৩৫-৪৫% ভর্তুকি প্রদান করার আশ্বাস দিয়েছেন। এই কথা কৃষি বিভাগের সংযুক্ত সচিব শ্রী মঞ্জুনাথ ‘গ্লোবাল এগ্রিচালচার এন্ড ফুড সমিট’ চলাকালীন আয়োজিত একটি প্রযুক্তিগত আলোচনা চলাকালীন এই কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি এই বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সীএএফটি সংস্থার কর্ণধার ডঃ এ কে বর্মা বলেছেন যে এই রাজ্যে পশুখাদ্যের উৎপাদনের পরিমাণ এখনো পর্যন্ত ৫৬% কম রয়েছে। পশুদের খাদ্যাভাব জনিত কারণে এই রাজ্যে দুধের উৎপাদনও উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এখানকার গরুরা গড়ে ১ থেকে ৩ লিটার দুধ দিতে পারে। তিনি আরও বলেছেন যে, এই রাজ্যে পশুদের জন্য সরকারি নীতির প্রয়োজন রয়েছে। একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী গিরিধর বলেছেন যে, ঝাড়খণ্ড রাজ্যে পশুখাদ্য উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু সেই তুলনায় চাহিদা মত খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে না।
আই সি এ আর-এর পূর্ব নির্দেশক পিকে ঘোষ বলেছেন যে সারা ভারতে একটি গাভীর থেকে গড়ে ১১৭২ লিটার পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায়। সেখানে আমেরিকায় একটি গাভীর থেকে বাৎসরিক গড়ে ১০৩৩৯ লিটার দুধ দেয়। তিনি বাজা জমিতে কিকরে ঘাস উৎপাদন করা যায় সেই নিয়েও তাঁর নিজের মতবাদ জাহির করেছেন। গমের জমিতে কীভাবে একি সাথে পশুখাদ্যকে সাথীফসল হিসেবে চাষ করা যায় সেই নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি এও বলেন যে ক্যাকটাসকেও পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ ক্যাকটাসে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে।
ক্ষতিকারক দুধ
ভারত ও নেপালের পশুখাদ্য উৎপাদক পরামর্শদাতা পবন কুমার বলেছেন যে ভারতের কাছে পশুখাদ্য উৎপাদনের বড় সমস্যা হলো বাছুরের মৃতু্যহার এখানে খুব বেশি, এর কারণ মানুষ এখন অক্সিটোসিন হরমোন ইনজেকশনের দ্বারা দুধের উৎপাদন বাড়ায়, এই দুধ মানব শরীরের পক্ষে খুবই হানিকারক।তিনি বলেন সোয়া দুধ অথবা গাইয়ের দুধ থেকে ক্ষতিকারক খাদ্য বানানো হচ্ছে, আর এর ফলেই বাছুরের দুধ খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায় তাই তারা অপুষ্টি রোগে ভুগে মৃত্যুমুখে ঢলে পড়ছে।
- প্রদীপ পাল(pradip@krishijagran.com)
Share your comments