কাঁকড়া চাষের প্রধান সুবিধা হল শ্রম খরচ খুবই কম, উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং এরা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যথাযথ যত্ন ও ব্যবস্থাপনার দ্বারা চিংড়ি চাষের থেকে কাঁকড়া চাষের ব্যবসা থেকে বেশি আয় করা যেতে। দুধরনের কাঁকড়া আছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য দু প্রকার প্রজাতির কাঁকড়া ভালো। গ্রিন মাড কাঁকড়া ও রেড ক্ল। গ্রিন মাড কাঁকড়া আকারে বড় হয়। এরা ২ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
রেড ক্ল সাধারণত গ্রিন মাড কাঁকড়ার থেকে ছোট হয়। এরা সাধারণত ১.২ কেজি পর্যন্ত হয়।
কাঁকড়ার চাষের পদ্ধতি - দুইভাবে এই চাষ করা যেতে পারে। গ্রো আউট সিস্টেম এবং ফ্যাটেনিং সিস্টেম। প্রথম সিস্টেমে কাঁকড়াদের ৫ থেকে ৬ মাস চাষ করা হয় যতক্ষণ না তারা বাজারে বিক্রির জন্য উপযুক্ত হয়। ফ্যাটেনিং সিস্টেমে কাঁকড়ার চাষে সময় কম লাগে আর এটি বেশী লাভজনক। কাঁকড়ার চাষে জল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাঝে মাঝে জল পরিবর্তন করা ভালো, ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে, কাঁকড়ার শরীরের ওজনের ৫-৮% খাবার এদের প্রয়োজন।
আপনি কম খরচে আপনার কাঁকড়াকে পচা মাছ, মুরগির বর্জ্য ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন। একসাথে সব খাবার দেবেন না। পরিবর্তে দিনে দুবার দিতে পারেন। সন্ধ্যা বেলায় বেশী খাবার দিতে হয়। সঠিক সাইজের কাঁকড়াকে বাজারে বিক্রি করতে হবে। গ্রো আউট সিস্টেমে কাঁকড়া সাধারণত ৫ থেকে ৬ মাসে আর ফ্যাটেনিং সিস্টেমে কাঁকড়ার আকারের উপর নির্ভর করে বাজারে চালান করা হয়। এদেরকে খুব ভোরে আর নাহলে সন্ধ্যাবেলাতে জল থেকে তোলা উচিত। সরাসরি সূর্যের আলো থেকে এদেরকে বাঁচানো উচিত, কারন সূর্যের আলো এদের পক্ষে ভালো না।
কাঁকড়া চাষ করে ভালো মুনাফা করা যেতে পারে। তাই এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী
Share your comments