দুধ এবং মাংস, এই দুই-এর জন্য দেশে ছাগলের চাহিদা প্রচুর৷ বিভিন্ন ধরণের ছাগলের পালন করা হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় বাংলার ছাগল (Black Bengal) পালন করা হলেও এখন বিটল ছাগলের (Beetal Goat) চাহিদাও বাড়ছে একটু একটু করে৷ বেশি পরিমাণে দুধ এবং মাংসের জন্য এই জাতের ছাগল পালনে উৎসাহ প্রকাশ করছেন পশুপালকেরা৷
এদের শারীরিক গঠনের জন্য সহজেই এদের আলাদা করে চিনতে পারা যায়৷ এদের পা লম্বা, কান ঝোলানো প্রকৃতির৷ লেজও তুলনামূলকভাবে ছোট এবং এদের সিং মোড়ানো অবস্থায় থাকে৷ দৈর্ঘ্যে প্রায় ৮৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এই জাতের ছাগল৷
এদের দুগ্ধ প্রদানের ক্ষমতা দৈনিক গড়ে প্রায় ২.৫ কিলোর বেশি৷ ছেলে বিটল ছাগলের ওজন প্রায় ৫০-৬০ কিলো হয় এবং মেয়ে বিটল ছাগলের ওজন প্রায় ৩৫-৪০ কিলো পর্যন্ত হয়৷ মূলত খাদ্য হিসেবে চারা ব্যবহার করা হয়৷ এরা প্রায় সব ধরণের গাছপালা, পাতা, ঘাস খেয়ে থাকে৷ তবে বেশি দুধ এবং মাংসের জন্য সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে এদের৷
এদের ভালো রকম পরিচর্যার প্রয়োজন হয়৷ যদিও এরা সবধরণের আবহাওয়াতে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম৷ গর্ভবতী বিটল ছাগলকে (Beetal Goat) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং শুকনো স্থানে রাখতে হয়৷ ৬-৮ সপ্তাহ আগে দুধ নেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়৷
বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর স্বচ্ছ সূক্ষ্ম কাপড়ে তাকে পরিষ্কার করতে হবে৷ এর নাক, মুখ, কান-এর প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে৷ জন্মের পর যদি বাচ্চা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয় বা এই জাতের ছাগলের কোনও রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে পশু চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত৷
প্রসঙ্গত, একটি পুরুষ বিটল ছাগল (Beetal Goat) ১২-১৫ মাসে পরিপক্ক হয়ে ওঠে এবং মেয়ে বিটল ছাগল ২০-২২ মাসে প্রথম বাচ্চা দেওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছয়৷ এই ছাগল ভারত এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাওয়া যায়৷ এরা যে কোনও ধরণের আবহাওয়াতেই নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারে এবং দুধ উৎপাদন ক্ষমতা যেমন এদের বেশি, তেমনই বেশি মাংসের জন্য এদের বাণিজ্যিক মূল্যও বেশ চড়া৷ তাই পশুপালকদের কাছে ধীরে ধীরে এই জাতের ছাগলের চাহিদা বাড়ছে৷
আরও পড়ুন- মাইক্রো লাইভস্টক (livestock Farming) -এর প্রয়োজনীয়তা
মেষপালন (Sheep Farming) করে আজ লক্ষাধিক মুনাফা অর্জন করছেন এই কৃষক
কোন জাতের ছাগল পালন (Profitable goat rearing) করলে বেশী লাভ হবে পশুপালকের? জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য
Share your comments