মাছ চাষ করবেন? জেনে নিন মাছের রোগ দূর করার উপায়

আমাদের দেশে শীতকালে সাধারণত মাছের ক্ষত রোগটি মহামারি আকার ধারণ করে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এসময় মাছ চাষীর ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

Saikat Majumder
Saikat Majumder
প্রতীকী ছবি।

কৃষি জাগরণ ডেস্কঃ আমাদের দেশে শীতকালে সাধারণত মাছের ক্ষত রোগটি মহামারি আকার ধারণ করে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এসময় মাছ চাষীর ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। একানোমাইসিস নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়ার কারণে মাছের ক্ষত রোগ হয়। এ রোগের জীবাণু সম্পর্কে দ্বিমত থাকলেও প্রতিকূল পারিপার্শ্বিকতা এ রোগের মূল কারণ বলে মৎস্য বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

রোগাক্রান্ত মাছের কিছু অস্বাভাবিক আচরণ ও শারীরিক অসঙ্গতি দেখা যায় যেমন- খাবারের প্রতি অনিহা, কঠিন বস্তুতে গা ঘর্ষণ, চলার গতি ধীর হওয়া; পানির উপর ভেসে থাকা; লাফালাফি করা; এছাড়াও দেহের যেকোনা অংশে ঘা হতে পারে। রূপালি রঙের সাদা ফোঁসকা উঠে পেট ফুলে যাওয়া, ফুলকা ফুলে উঠে এবং গায়ে আঠাঁলো বিজলা বের হওয়া।

আরও পড়ুনঃ মাছ চাষ করার জন্য এখন আপনিও পাবেন ৬০শতাংশ ভর্তুকি,জানুন বিস্তারিত

শীতকালে পুকুরের পানির পিএইচ ঠিক রাখার জন্য নিয়মিতভাবে চুন দিতে হবে। ঘন ঘন জাল ফেলে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাল ফেললেও মাছগুলোকে পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট দ্রবণে ডুবিয়ে তারপর পুনরায় পানিতে ছাড়তে হবে।

পুকুরে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি মাছ রাখা ঠিক হবে না। বর্ষার সময় বাইরের পানি পুকুরে ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না। পুকুরের তলদেশের গাদ প্রতি দুই-তিন বছর পরপর একবার সরিয়ে নিতে হবে। মরা মাছগুলোতে চুন লাগিয়ে পুকুর থেকে দূরে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।

এফানোমাইসেস ছত্রাকপড়ে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। প্রায় ৩২ প্রজাতির স্বাদু জলের মাছে এ রোগ হয়। যেমন- টাকি, শোল, পুঁটি, বাইন,কই, শিং, মৃগেল, কাতলসহ বিভিন্ন কার্পজাতীয়মাছে এ রোগ হয়।

লক্ষণ

প্রথমে মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায়। লাল দাগে ঘা ও ক্ষত হয়।ক্ষতে চাপ দিলে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়।লেজের অংশ খসে পড়ে।মাছের চোখ নষ্ট হতে পারে।মাছ ভারসাম্যহীনভাবে পানির ওপরে ভেসে থাকে। মাছ খাদ্য খায় না।আক্রান্ত মাছ ১৫ থেকে ২০ দিনের  মধ্যে মারা যায়। এ রোগ হলে করণীয় হচ্ছে- শীতের শুরুতে ১৫ থেকে ২০ দিন অন্তর অন্তর পুকুরে প্রতি শতাংশে এক কেজি ডলোচুন ও এক কেজি লবণ মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। পুকুর আগাছামুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জৈবসার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।জলাশয়ের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হবে। মাছের ঘনত্ব কম রাখতে হবে। ক্ষতরোগ হওয়ার আগে এসব ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ আবিষ্কার হল মাছের ভ্যাকসিন, কেন এই ভ্যাকসিনের প্রয়োজন? জানালেন বিজ্ঞানিরা

মাছ ক্ষত রোগে আক্রান্তহলে প্রতি কেজি খাদ্যের সঙ্গে ৬০ থেকে ১০০মিলিগ্রাম টেরামাইসিন ওষুধ দিতে হবে।অথবা তুঁত দ্রবণে মাছডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছাড়তে হবে। আক্রান্ত মাছপুকুর থেকে সরাতে হবে।

Published On: 24 August 2022, 02:56 PM English Summary: Do you farm? Nine ways to eliminate fish diseases

Like this article?

Hey! I am Saikat Majumder. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters