পশুপালন ভারতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য । ভারতে গরু, মহিষ ও ছাগলের পরিমাণ অনেক বেশি। ছাগলের ২০ টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে তবে এই প্রজাতির মধ্যে মাংস এবং দুধের প্রজাতি আলাদা করা কঠিন । কিছু প্রজাতি দুধ এবং মাংস উভয়ের জন্য প্রজনন করা হয়, যাকে ডাবল ব্রিড বলা হয়।
ছাগলের দুধের গুরুত্ব
ছাগলের দুধ রিবোপ্লাভিন নামক ভিটামিনের একটি ভালো উৎস যা শরীরে শক্তি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।
ছাগলের দুধ, ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস, হাড়ের ক্ষয় কমায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে।ক্যালসিয়াম বেশি থাকায় এটি চর্বি অক্সিডেশনে সহায়ক। এইভাবে, এটি স্থুলতা প্রতিরোধ করে এবং মহিলাদের স্তন ক্যান্সার রক্ষায় করতে সহায়ক।
ছাগলের দুধে উচ্চ পটাসিয়াম থাকায় রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছাগলের দুধ কার্যকারি ভুমিকা পালন করে।
ছাগলের দুধের বৈশিষ্ট্য
ছাগলের দুধে ছোট চর্বিযুক্ত গ্লোবুলসের কারণে, ক্রিম আলাদা হয় না। তাই একে প্রাকৃতিক সমজাতীয় দুধ বলা হয়।
ছাগলের দুধে পুঞ্জীভূত ভিটামিন- 'এ' থাকে।
ছাগলের দুধের গঠন প্রায় মানুষের দুধের অনুরূপ।
ছাগলের দুধে ক্লোরিন ও সিলিকন বেশি থাকে।
ছাগলের দুধ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।
চর্বিযুক্ত গ্লোবুলসের আকার ছোট হওয়ার কারণে এটি হজম করা সহজ।
গরুর দুধে অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিরা ছাগলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
ছাগলের দুধ কোষ্ঠকাঠিন্যে অত্য়ন্ত উপকারী।
আরও পড়ুনঃ ওসমানবাদী জাতের ছাগল অনুসরণ করে মুনাফা অর্জন করুন, জেনে নিন এর বৈশিষ্ট্য
ছাগল ভারতের অন্যতম প্রধান গৃহপালিত প্রাণী যা মাংস, দুধ, এবং চামড়ার জন্য বিশেষভাবে পালন করা হয়। ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ প্রদেশে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল পাওয়া যায়। উত্তর ভারতের বেশির ভাগ মানুষ শুধু মাংসের জন্য ছাগল পালন করে, কিন্তু ছাগলের দুধও পুষ্টি পাওয়ার প্রধান মাধ্যম।
আরও পড়ুনঃ বোয়ার ছাগল পালন করে প্রচুর মুনাফা, জেনে নিন বৈশিষ্ট্যগুলো
Share your comments