
গ্রীষ্মকাল আসার সাথে সাথে দেশের লক্ষ লক্ষ গবাদি পশুপালকদের একটি সাধারণ সমস্যা হল দুধ উৎপাদন হ্রাস । গরু, মহিষ বা ছাগল, সবার দুধ হঠাৎ করেই কমে যেতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, প্রতিটি পশুপালক ভাবেন যে তার পশু যাতে আবার প্রচুর দুধ দিতে শুরু করে তার জন্য কী করা উচিত। গ্রীষ্মকালে পশুর দুধ উৎপাদন হ্রাসের পিছনে অনেক কারণ রয়েছে, তবে সময়মতো মনোযোগ দেওয়া হলে এই সমস্যাটি অনেকাংশে এড়ানো যেতে পারে।
গ্রীষ্মকালে প্রাণীদের বিশেষ খাবারের প্রয়োজন হয়
গ্রীষ্মকালে পশুদের খাদ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া জরুরি , অনেক সময় কৃষকরা কেবল দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ওষুধ দেওয়া শুরু করেন কিন্তু আসল সমাধান লুকিয়ে থাকে তাদের খাবারের মধ্যেই। গরু ও মহিষের মতো বড় প্রাণীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ কেজি সবুজ খাবার এবং ৫ কেজি শুকনো খাবার দেওয়া উচিত। যদি কোন পশু ৫ লিটার দুধ দেয়, তাহলে তাকে প্রায় ২.৫ কেজি খনিজ মিশ্রণও দিতে হবে। এটি কেবল তার স্বাস্থ্য ভালো রাখে না বরং দুধের পরিমাণও বজায় রাখে।
তাপ থেকে প্রাণীদের রক্ষা করুন
গ্রীষ্মকালে মানুষ যেমন হিট স্ট্রোকে ভোগে, তেমনি প্রাণীরাও তাপের চাপে ভুগতে পারে। অতএব, তাদের থাকার জায়গায় ছায়া থাকা উচিত, দিনে ২ থেকে ৩ বার পরিষ্কার ও ঠান্ডা পানি পাওয়া উচিত এবং সম্ভব হলে বিকেলের দিকে বাইরে বের করা উচিত নয়।
জাত উন্নত করলে আরও দুধ পাওয়া যাবে
শুধু খাদ্যাভ্যাসই নয়, ভালো জাতের পশুরাও বেশি এবং ভালো দুধ দেয়। আজকাল, লিঙ্গ বাছাইকৃত বীর্য এবং IVF প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা উচ্চমানের বাছুর উৎপাদন করতে পারি। এর সাহায্যে, প্রতিবার গরু বা মহিষ থেকে একটি স্ত্রী বাছুর পাওয়া যেতে পারে, যা আরও ভালো দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে। এখন সারা দেশে অনেক সরকারি ও বেসরকারি বীর্য ব্যাংক তৈরি হয়েছে, যেখান থেকে কৃষকরা কম দামে ভালো মানের বীর্য পেতে পারেন। এখন, অনেক জায়গায়, বাড়িতেও কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা পাওয়া যায়।
Share your comments