তিলাপিয়া মাছ চাষে কৃষক আয় করছেন ৭ লক্ষ টাকা (Profitable Tilapia Farming)

(Profitable Tilapia Farming) বাণিজ্যিক মাছ চাষের ক্ষেত্রে তিলাপিয়া মাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রায় সব ধরণের মানুষ তিলাপিয়া মাছ পছন্দ করেন। এশিয়ার দেশগুলির আবহাওয়া ও পরিবেশ তিলাপিয়া মাছ চাষের জন্য খুবই অনুকূল। তিলাপিয়া মাছ খুবই সুস্বাদু, তাই মাছ চাষী ও ভোক্তাদের কাছে এটি একটি বড় চাহিদা। এটি মাছ চাষের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে।

KJ Staff
KJ Staff
Fish farming
Tilapia Fish (Image Credit - Google)

বাণিজ্যিক মাছ চাষের ক্ষেত্রে তিলাপিয়া মাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রায় সব ধরণের মানুষ তিলাপিয়া মাছ পছন্দ করেন। এশিয়ার দেশগুলির আবহাওয়া ও পরিবেশ তিলাপিয়া মাছ চাষের জন্য খুবই অনুকূল। তিলাপিয়া মাছ খুবই সুস্বাদু, তাই মাছ চাষী ও ভোক্তাদের কাছে এটি একটি বড় চাহিদা। এটি মাছ চাষের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে।

বাণিজ্যিক মাছ চাষের ক্ষেত্রে তিলাপিয়া মাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রায় সব ধরণের মানুষ তিলাপিয়া মাছ পছন্দ করেন। এশিয়ার দেশগুলির আবহাওয়া ও পরিবেশ তিলাপিয়া মাছ চাষের জন্য খুবই অনুকূল। তিলাপিয়া মাছ খুবই সুস্বাদু, তাই মাছ চাষী ও ভোক্তাদের কাছে এটি একটি বড় চাহিদা। এটি মাছ চাষের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে।

আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহার করে, তিলাপিয়া মাছ চাষে করলে খুব কম সময়ের মধ্যেই আকাঙ্ক্ষিত আয় করা যেতে পারে। স্থানীয় ও বিদেশী বাজারে এই মাছের উচ্চ চাহিদার কারণে, কৃষকরা এই মাছ চাষে বেশি আগ্রহ  দেখাচ্ছে। প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান গ্রহণ করার ক্ষমতা, প্রতিকূল অবস্থায় বেঁচে থাকা এবং তিলাপিয়া মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য এই মাছের চাষ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিন তিলাপিয়া মাছের চাহিদা বাড়ছে।

তিলাপিয়া মাছ ১২-৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে এবং ১৬-৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের তাপমাত্রায় ভালভাবে বৃদ্ধি পায়। তিলাপিয়া মাছ বছরে দুবার উৎপাদিত হতে পারে। যদি আধুনিক চাষ পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি তিলাপিয়া মাছ চাষে ব্যবহার করা হয়, তবে এটি আরও আয় দেবে। তিলাপিয়া মাছ চাষ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে ভাল ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্ত্রী তিলাপিয়া বছরে অসংখ্য বার মাছের পোনা উৎপাদন করতে পারে। স্বাভাবিকভাবে স্ত্রী তিলাপিয়ার তুলনায় পুরুষ তিলাপিয়ার বৃদ্ধির হার বেশি। কৃষক শুধুমাত্র পুরুষ তিলাপিয়া মাছ চাষ করতে পারেন তাতে উৎপাদন আরো বেশী হবে।

পুকুর নির্বাচন (Pond Density) - 

তিলাপিয়া মাছ চাষের জন্য ১.৫-৪ ফুট গভীরতার একটি পুকুর নির্বাচন করুন। গুল্ম এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস পুকুর থেকে অপসারণ করতে হবে, এতে পুকুরের ভিতরে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারবে। উপযুক্ত পুকুরের ব্যবস্থাপনা ভাল উৎপাদনে সাহায্য করে।

পুকুরের পরিচর্যা - 

বাচ্চা তিলাপিয়া মাছকে নার্সিং পুকুরে রাখা উচিত। এগুলিকে পুকুরটিতে রাখার আগে আপনাকে পুকুরের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। সবার প্রথমে পুকুর শুকিয়ে তাতে রোটেনন ওষুধ দিতে হবে এবং অবাঞ্ছিত  পোকামাকড় এবং প্রাণীকে অপসারণ করতে হবে। তারপরে, একর প্রতি ১০০ কেজি চুন, ৫০০-৭০০ কেজি গোবর, ১০-১৫ গ্রাম নাইট্রোজেন, ৫-৭ গ্রাম টিএসপি এবং ২ গ্রাম এমওপি প্রয়োগ করুন। পশুপাখি ও সাপ থেকে মাছকে প্রতিরোধ করতে পুকুরের চারপাশে একটি জাল রাখুন। পুকুরে সার প্রয়োগের ৫-৭ দিন পর পুকুরে ২১ -২8 দিন অবধি  বাচ্চা তিলাপিয়াগুলোকে রাখতে হবে। মাছের ওজন অনুযায়ী তাদের জন্য ১০-১৫% খাদ্য সরবরাহ করুন। ৪০-৬০ দিন পর তাদের অন্য পুকুরে নিয়ে যেতে হবে।

প্রজনন (Broodstock) - 

তিলাপিয়া মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া খুব কঠিন নয় এবং প্রজনন পদ্ধতি খুব সহজ। প্রজননের উদ্দেশ্যে মাছগুলিকে একটি ছোট আকারের ট্যাঙ্কে স্থাপন করা যেতে পারে এবং তারপরে আরও চাষের জন্য একটি বড় ট্যাঙ্ক বা পুকুরে স্থানান্তর করুন। খুব ছোট অবস্থায় পুরুষ ও মহিলা তিলাপিয়া মাছ চিহ্নিত করা খুব কঠিন, যা বাণিজ্যিক তিলাপিয়া মাছ চাষের জন্য একটি বড় সমস্যা। এই কারণে বড় বাণিজ্যিক তিলাপিয়া চাষিরা লাভজনক চাষের জন্য শুধুমাত্র পুরুষ তিলাপিয়া উৎপাদনের জন্য হরমোন বা জেনেটিকালি নির্বাচিত মাছ ব্যবহার করেন।

খাদ্যাভ্যাস - 

তিলাপিয়া মাছ সাধারণত সব কিছুই খায়। এরা সাধারণত শেত্তলা এবং বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ প্রাকৃতিক খাবার খায়। ছোট বা বড় আকারের বাণিজ্যিক তিলাপিয়া মাছ চাষের জন্য চাষিরা বাণিজ্যিক তিলাপিয়া মাছের খাদ্য ব্যবহার করতে পারেন যা নিকটতম বাজারে পাওয়া যায়। জৈবিক মাছের খাদ্যও তিলাপিয়া মাছের জন্য উপলব্ধ এবং বাড়িতে তৈরি করা খাবারও ব্যবহার করা যেতে পারে। বাণিজ্যিক খাবার মাছের জন্য খুব  কার্যকর এবং এটি সর্বোচ্চ বৃদ্ধি প্রদান করে।

পরিচালনা - 

প্রথমে জাল এবং রোটেনন ওষুধ ব্যবহার করে পুকুর থেকে অবাঞ্ছিত সব জিনিস সরিয়ে ফেলুন। পুকুরে  প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রতি সপ্তাহে গোবর এবং মিশ্রসার প্রয়োগ করুন। প্রাকৃতিক খাদ্য ছাড়াও তাদের যথেষ্ট পরিপূরক মাছের খাদ্য দিন। মাছের চাহিদা অনুযায়ী আপনি যদি পরিপূরক খাদ্য সরবরাহ করেন তবে প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহের কোন প্রয়োজন নেই। যখন মাছের ওজন ১০০ গ্রামের বেশি হবে, তখন আপনি পুকুরের জল প্রতিদিন ৫% হারে পরিবর্তন করলে ভাল হবে। তিলাপিয়া মাছের গড় ওজন ৩০০-৫০০ গ্রাম হলে এটি বিক্রয়ের জন্য উপযুক্ত হবে।

আজকাল তিলাপিয়া মাছের বাজার বিশ্বব্যাপী । তিলাপিয়া মাছ উৎপাদন করতে কম সময় লাগে এবং এটি স্বল্প সময়ের মধ্যে ভালো আয় দিতে পারে।

আরও পড়ুন - জৈবপ্রযুক্তি প্রয়োগে উন্নত গুণমান সম্পন্ন এবং উচ্চফলনশীল প্রাণী উৎপাদন (Production of high quality and high yielding)

Published On: 02 January 2021, 12:00 AM English Summary: Farmers are earning 6 lakh rupees from tilapia fish farming

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters