এই সময়ে দুগ্ধবর্তী গরুর বাসস্থানের গঠন ও তার পরিচর্যা কীভাবে করবেন ?

দুগ্ধবর্তী গরু এবং মোষকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে গরু প্রতি দুধ উৎপাদন বাড়ে যা স্বাভাবিক ভাবেই চাষির লাভের পরিমান বৃদ্ধি করে। দুগ্ধবতী প্রাণীটির আবহাওয়ার সামান্য তারতম্যের কারনে সহজে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য প্রাণীটির খাদ্যগ্রহনের হার, হজম পদ্ধতি, বিপাকের হার, শরীরের পুষ্টির চাহিদা ও উৎপাদন ক্ষমতা, বিডিন্ন দুগ্ধ উৎপাদনকারী হরমোন এবং সর্বোপরি তার প্রজনন ক্ষমতা প্রভাবিত হয়।

KJ Staff
KJ Staff
Cattle farming
Cattle farm (Image credit - Google)

দুগ্ধবতী গরু এবং মোষকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে গরু প্রতি দুধ উৎপাদন বাড়ে, যা স্বাভাবিক ভাবেই চাষির লাভের পরিমান বৃদ্ধি করে। দুগ্ধবতী প্রাণীটির আবহাওয়ার সামান্য তারতম্যের কারনে সহজে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আবহাওয়ার তারতম্যের জন্য প্রাণীটির খাদ্যগ্রহনের হার, হজম পদ্ধতি, বিপাকের হার, শরীরের পুষ্টির চাহিদা ও উৎপাদন ক্ষমতা, বিডিন্ন দুগ্ধ উৎপাদনকারী হরমোন এবং সর্বোপরি তার প্রজনন ক্ষমতা প্রভাবিত হয়। 

দুগ্ধবতী গাভির বাসস্থানের গঠন ও তার পরিচর্যা (Maintenance of dairy cows) -

  • দুগ্ধবতী গাভির বাসস্থান শুধু থাকার জন্য নয় উপরস্তু গাভীটির দোহন, খাদ্যগ্রহন ও তাকে পরিচ্ছন্ন রাখারও স্থান। তাই গাভির ঘরের চারিপাশ ও চরার জায়গাগুলি ভালভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সকল প্রকার পোকামাকড় ও দূষণ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। খামারের নিকাশি ব্যবস্থাও ভালো থাকতে হবে।

  • গাভির কোন রকম স্বভাবগত বা শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করার জন্য ঘরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। গাভির ঘরের অভিমুখ হবে উত্তর-দক্ষিণমুখী, এতে ঠান্ডা বা গরমের থেকে প্রাণীটি রক্ষা পাবে।

  • গরমের সময় প্রাণীটিকে কাঁচা মাটির মেঝে বা বালির মেঝেতে রাখলে প্রাণীটি আরাম পায়।

  • গরমকালে দুগ্ধবতী গাভির উৎপাদন সঠিক রাখার জন্য এবং তাকে গরমের থেকে রক্ষা করার জন্য ঠান্ডা জলের ছিটে দিতে হবে বা বস্তা জলে ভিজিয়ে গরুর গায়ে দিতে হবে।

  • শীতের সময় গাভির ঘরে শুকনো খড় বা পোয়াল বিছিয়ে দিতে হবে যাতে পালান ও শরীর দুটিই ঠান্ডার থেকে রক্ষা পায়।

  • মোষ পালনের ক্ষেত্রে কাছাকাছি জলাশয় বা বড় চৌবাচ্চা রাখতে হবে যেখানে গ্রীষ্মকালে ডুব দিয়ে তারা গরমের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে এবং নিজের প্রজনন ও দুধ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে পারে।

  • ম্যাসটাইটিস, গলাফোলা, ক্ষুরাই ইত্যাদি রোগের কারনে দুধ উৎপাদন খুব বেশি ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই সঠিক সময়ে বিভিন্ন রোগের টিকাকরন করানো বা কৃমির ঔষধ খাওয়ানো উচিৎ যার ফলে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

দুগ্ধবতী গাভির পুষ্টি -

  • দুগ্ধকালীন অবস্থায় প্রথম তিনমাস দুগ্ধবর্তী গাভিকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান শক্তিপ্রদানকারী খাবার খাওয়াতে হবে, কারণ এই সময় কম পরিমাণ খাবার খাওয়ালে দুধের উৎপাদন এবং দুধ দেওয়ার সময় হ্রাস পায়।

  • গরমের সময় গরুটির জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত পরিমান খাবার ২-৩ বারে ভাগ করে খাওয়ালে দুধ উৎপাদনের পরিমান বৃদ্ধি পায়।

  • গরমের সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। খাওয়ার জল অবশ্যই পরিস্কার ও নোংরামুক্ত রাখতে হবে।

  • দুধ উৎপাদন শুরুর ৪ মাসের থেকে গাভিকে তার চাহিদা অনুযায়ী সবুজ বা শুকনো গোখাদ্য এবং দানাখাদ্য খাওয়াতে হবে।

  • একটি ২৫০-৩০০ কেজির গরু যে প্রতিদিন ৮-১০ কেজি দুধ দেয় তাকে ১৫-২০ কেজি সবুজ গোখাদ্য, ১-২ কেজি দানাখাদ্য এবং ২-৩ কেজি শুকনো গোখাদ্য (খড় বা পোয়াল) খাওয়াতে হবে। এর সাথে সাথে খনিজ লবনের মিশ্রণ খাওয়ালে গরুটির স্বাস্থ্যও ভালো থাকে ও দুধের পরিমাণও বাড়ে।

আরও পড়ুন - দ্রুত বর্ধনশীল কৈ বা ভিয়েতনাম কই-এর সাথে সাথী ফসল চাষ করে আয় করুন অতিরিক্ত

গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম ও আর্দ্রতায় গরুর খাবারে তন্তুজাতীয় খাদ্যের পরিমাণ কম দিতে হবে, কারণ এইধরনের খাবার হজমের সময় তাপ উৎপাদিত হয় যা গরুটির অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে ও দুধ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। শীতের সময় লুসার্ন বা বারসীম (বরবটি জাতীয়) গোখাদ্য যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়াতে হবে, যাতে গরুটি গরম থাকে এবং কম পরিমাণ দুধ উৎপাদন থেকে রক্ষা করা যায়।

আরও পড়ুন - রাজ্যের বেকার যুবকদের কম মূলধন বিনয়োগ করে অধিক লাভজনক মাছ চাষের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন

Published On: 18 April 2021, 04:01 PM English Summary: How to build Cattle farmland & take care of a dairy cows at this time

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters