মাছ চাষ ভারতীয় কৃষকদের আয়ের একটি ভাল উৎস হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে, কৃষকরা কম খরচে এই কাজ শুরু করে ভাল লাভ করতে পারেন। কিন্তু অনেক সময় মাছ চাষ কিছু কৃষকের জন্য খুবই কঠিন হয়ে পড়ে, যার কারণে তাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। আজ, কৃষি জাগরণের এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে এমন একটি সঠিক সমাধান সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা মাছ চাষি কৃষকদের আয় ৩ গুণ বৃদ্ধি করবে এবং খরচ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেবে।
মাছ দিয়ে হাঁস বাড়ান
আপনিও যদি মাছ চাষ করে আয় বাড়াতে চান, তাহলে মাছের সাথে হাঁসও পালন করা উচিত। এটি দীর্ঘমেয়াদে মাছ চাষ করা কৃষকদের জন্য ভাল আয়ের উত্স হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাষিরা মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস পালন করলে উভয়েরই পারস্পরিক সহযোগিতা পাওয়া যায় এবং খরচও অনেক কমে যায়।
আরও পডু়নঃ কোয়েল ফার্মিং করে লাখ লাখ টাকা আয় হবে, শুধু এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
খরচ ৬০ শতাংশ কমে যাবে
মাছ খাওয়ালে পুকুর নোংরা হতে থাকে। এ কারণে মাছগুলো অক্সিজেন কম পায় এবং কৃষকদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে অনেক খরচ করতে হয়। কিন্তু হাঁস পালন করে এই খরচ বাঁচানো যায়। হাঁস পুকুরের জল পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করতে পারে, কারণ তারা ময়লা খায়। হাঁস জলে ভাসতে থাকে, যা অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিক রাখে। সঠিক পরিবেশের কারণে মাছেরও বিকাশ ঘটে। হাঁসের আগাছাও মাছের খাদ্য, যা তারা খুব মজা করে খায়। আমরা যদি এই সব বিষয়গুলো লক্ষ্য করি তাহলে হাঁস পালনের মাধ্যমে আমরা মাছ চাষে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারি।
আরও পড়ুনঃ স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
মাছ চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয়
হাঁসকে খাবারে বারসিম, ঘাস, সবজির খোসা, ওটস, ধানের খড়, খনিজ মিশ্রণ দেওয়া উচিত। হাঁস চার থেকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে ডিম দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। একটি পুকুরে মাছের ওজন ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে ১ থেকে ১.৫ কেজি হতে পারে। কৃষক কৃষকরা এক একর পুকুরে ২০ থেকে ২৫ কুইন্টাল মাছ উৎপাদন করতে পারে, যা থেকে তারা ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা আয় করতে পারে।
Share your comments