ভারতে, লোকেরা ভাল উপার্জনের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে হাঁস-মুরগির চাষের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। হাঁস-মুরগির খামারে বেশিরভাগ মানুষই তিতির পালন করে থাকেন। তিতির পালন কৃষকদের জীবিকার উৎস হয়ে উঠছে। বাজারে এগুলোর ভালো চাহিদা রয়েছে। কম খরচে ঘরে বসেই মোটা টাকা উপার্জনের জন্য গিনি ফাউল পালন একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। বাজারে ডিম ও মাংসের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার কারণে বেশিরভাগ খামারি অন্যান্য প্রজাতি যেমন মুরগি, তিতির, হাঁস ইত্যাদি গ্রহণ করছেন।
৯০ থেকে ১১০ ডিম উৎপাদন
পোল্ট্রি চাষীদের জন্য তিতির চাষ একটি খুব ভাল ব্যবসা হতে পারে। এর প্রজাতি বিভিন্ন ভারতীয় কৃষি জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত। ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য তিতিরকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং কম কোলেস্টেরল হওয়ায় তিতির মাংসকে ভোক্তারা অত্যন্ত সুস্বাদু বলে মনে করেন এবং এটি পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। তিতিরগুলি পরিবেশ বান্ধব এবং সার এবং সেইসাথে ক্ষেতে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করে। স্ত্রী তিতির মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯০ থেকে ১১০টি ডিম পাড়ে।
আরও পড়ুনঃ বর্ষাকালে পশুদের হতে পারে এই 4টি রোগ, জেনে নিন প্রতিরোধের ঘরোয়া পদ্ধতি!
একটি তিতির দেখতে কেমন?
তিতিরের মাথা ও ঘাড়ে খালি চামড়া থাকে। তিতিরের পালক সাদা ও বাদামী রঙের হয় এবং তাদের গায়ে সাদা দাগ থাকে। এর গলার রং হলুদ-নীল। তিতিরের মাথায় একটি বাদামী 'শিরস্ত্রাণ' থাকে এবং পায়ে লাল বাঁট থাকে।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতে আঙ্গুর চাষ করা খুব সহজ, এই টিপসটি অনুসরণ করুন!
তিতির চাষ থেকে বড় আয়
যে কেউ কম খরচে নিজের পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসা শুরু করেন তার জন্য তিতির চাষ একটি খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। কম খরচে শুরু করার জন্য এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। যদি ভালো জাত এবং সঠিক প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা দিয়ে তিতির পালন করা হয়, তাহলে খামারিরা মুরগি পালনের চেয়ে বছরে তিন থেকে চার গুণ বেশি আয় করতে পারে।
Share your comments